shono
Advertisement

‘ক্ষমতা, লালবাতির লোভে রাজনীতিতে যেও না’, ভোটের মুখে ‘মির্জা’র মেজাজে অঙ্কুশ

'মির্জা'র ট্রেলারেও দাপুটে অঙ্কুশ।
Posted: 04:59 PM Mar 31, 2024Updated: 04:59 PM Mar 31, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “রাজনীতি টাকা কামানোর জায়গা নয়। দায়িত্ব নেব বলে না নিতে পেরে, রাজ্যটাকে নষ্ট কোরো না” ভোটের আবহে সোজাসাপটা আর্জি অঙ্কুশের (Ankush Hazra)। সম্প্রতি ‘মির্জা’ সিনেমার প্রচারে সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেতা-প্রযোজক। সেখানেই তারকা রাজনীতিকদের নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।

Advertisement

ভোটবাক্স ভারী করতে প্রচারের ময়দানে তারকামুখের ঝলক, এদেশে নতুন নয়। রাজনীতি আর গ্ল্যামার দুনিয়া বর্তমানে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এযাবৎকাল বহু তারকা সাংসদ-বিধায়ক পেয়েছে দেশবাসী। শুধু বলিউড কিংবা দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রি কেন, টলিউডের বহু তারকাও সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ই বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির একঝাঁক তারকা রাজনীতির ময়দানে নেমেছিলেন। কেউ বিজেপিতে আবার কেউ বা তৃণমূলে যোগ দিয়ে টিকিট পেয়েছিলেন। কেউ পরাস্ত হয়েছেন, আবার কেউ বা জিতে দলে মান রেখেছিলেন। অনেকেরই আবার ভোট উৎসব মিটতেই রাজনৈতিক মোহভঙ্গ হওয়ায় পাততাড়ি গুটিয়ে আবার চলেও গিয়েছেন। এবার লোকসভা ভোটেও দুই বিরোধী শিবিরে তারকা মুখের চমক রয়েছে। তারকাদের এই রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়েই এবার মুখ খুললেন অঙ্কুশ হাজরা।

সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এর মুখোমুখি হয়ে সোজাসাপটা কথা টলিপাড়ার ‘মির্জা’র। অঙ্কুশের মন্তব্য, “ক্ষমতা আর ওই লালবাতিওয়ালা গাড়ির লোভে প্লিজ রাজনীতিতে যেও না। যাঁরা বোঝো, জানো, তাঁরাই যাও। রাজনীতি কোনও পেশা নয়। এটা পয়সা কামানোর জায়গা নয়। যেটুকু পারো সেটাই করো। ফিল্ম করো। রাজ্যটাকে আর নষ্ট কোরো না। কেউ যদি দায়িত্বটা নেব বলে নিতে পারে না, তাতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়ে যায়। রাজনীতি দেশ এবং দশের কর্তব্য।”

দেব-মিমি প্রসঙ্গে অঙ্কুশের মন্তব্য, “আমার সহকর্মীদের অনেকেই তো দারুণ কাজ করছে। এক্ষেত্রে আমি দেবের কথা সবসময়ে বলি। মিমিও রাজনীতি করেছে। যখন অপ্রয়োজনীয় ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছে, তখন ও সরে এসেছে। মিমি খুব সৎভাবেই রাজনীতিতে ছিল। ওকে কুর্নিশ।”

ভবিষ্যতে অঙ্কুশের কি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? এপ্রসঙ্গে টলিউডের ‘মির্জা’ রসিকতা করেই প্রথমে বললেন, “প্রত্যক্ষ-পরোক্ষাভাবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল বটে! কিন্তু রাজনীতি নিয়ে বহু সাক্ষাৎকারে এমন এমন কথা বলেছি, যে দলে যাব সেই দলেই মার খাব! আমাকে কোনও দলে নিলে আমি হয়তো বেঁফাস কথা বলে ফেলব, সেটা অনেকে ভাবতে পারেন। আসলে আমি তো রাখঢাক করে কথা বলতে পারি না। আর আমি রাজনীতি জিনিসটাই বুঝি না।” এরপরই অঙ্কুশের সংযোজন, “আমি খুব ল্যাদখোর! শুটিং আর বাড়ি নিয়েই থাকি। আর যদি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলো, তাহলে সেটা কোভিড কিংবা আমফানের সময় আমি আর ঐন্দ্রিলা দুজনেই করেছি। সেটাতেই আমাদের শান্তির ঘুম হয়।”

[আরও পড়ুন: দিনে নেতা, রাতে অভিনেতা! ঘাটলে প্রচার সেরেই ‘প্রধান’-এর সেঞ্চুরি সেলিব্রেশনে দেব]

সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এর সাক্ষাৎকারের ফাঁকেই ঐন্দ্রিলা বললেন, “আমাকে যদি ‘মির্জা’ ছবির শুটিং এবং ভোটের প্রচারের মধ্যে থেকে যে কোনও একটা বেছে নিতে হয়, আমি অভিনয়টাকেই বেছে নেব। কিন্তু লোভের চক্করে ভোটের কাজটা নিয়েও নিলাম, চারটে টাকা কামাব বলে, এটা আমি জীবনে পারব না।” অভিনেত্রীর মুখের কথা টেনে নিয়েই অঙ্কুশের মন্তব্য, “লোভের থেকেও বড় হল মানুষই বলবেন, তুমি হাজিরা দাওনি। কিন্তু আমার যে সহকর্মীরা রাজনীতিতে যোগ দিতে চান, তাঁদের সকলকে হাতজোড় করে বলব, তোমরা যাঁরা বোঝো না, জানো না, তাঁরা দয়া করে পলিটিক্সে যেও না। যাঁরা বোঝো জানো, এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তাঁরাই যাও।”

[আরও পড়ুন: ওপার বাংলায় ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক, এপারে ফিল্মফেয়ারে ঐতিহ্যবাহী জামদানিতে জয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement