shono
Advertisement

Breaking News

৪৪ ঘণ্টা পর গার্ডেনরিচের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার আরও ১! এখনও নিখোঁজ ‘শেরু’

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ১০।
Posted: 08:54 PM Mar 19, 2024Updated: 10:29 PM Mar 19, 2024

অর্ণব আইচ: প্রায় ৪৪ ঘণ্টা পর গার্ডেনরিচের (Garden Reach) কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় আরও এক মৃতদেহ। মৃতের নাম মহম্মদ জামিল। সূত্রের খবর, এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপে বেশ কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারীরা। 

Advertisement

এদিন গার্ডেনরিচে ধ্বংসস্তূপ থেকে ক্রমাগত বের হচ্ছিল পচা গন্ধ। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিল উদ্বিগ্ন দুই পরিবার। এর মধ্যেই আলাদাভাবে ধ্বংসস্তূপের ভিতর আধুনিক সার্চ ক‌্যামেরা প্রবেশ করায় কেন্দ্রীয় সংস্থা এনডিআরএফ ও কলকাতা পুলিশের ডিএমজি। তাতেই সন্ধান মেলে দু’জনের। রাতে মহম্মদ জামিলের দেহ উদ্ধার হয়। এখনও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ শেরু নিজামির।

মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উদ্ধারকাজে হাত দেন প্রায় দু’শো জন। এদিন সকালেই এনডিআরএফের উদ্ধারকারী সারমেয় ডায়মন্ড কাটার সার্কুলার করাত দিয়ে কাটা কংক্রিটের গর্ত দিয়ে ধ্বংসস্তূপে প্রবেশ করে। গন্ধ শুঁকে সারমেয় উদ্ধারকারীদের জানিয়ে দেয়, কোথায় থাকতে পারেন নিখোঁজ ব‌্যক্তিরা। সেইমতো উদ্ধারকাজ চলতে থাকে। কিন্তু বেলা বাড়তেই ধ্বংসস্তূপ থেকে পচা গন্ধ ছড়াতে থাকে। এনডিআরএফ তখন ‘লাইভ ডিটেক্টর’ দিয়ে পরীক্ষা করতে থাকে। এই যন্ত্রটি প্রায় ২৫ ফুট মাটির নিচে প্রাণের স্পন্দন পেতে পারে। কিন্তু যন্ত্রে সাড়া দেয়নি। এর ফলে উদ্ধারকারীরা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যান যে, যাঁরা ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন, তাঁরা আর জীবিত অবস্থায় নেই। একই সঙ্গে শেরু নিজামি ও মহম্মদ জামিলের পরিবারের লোকেরাও আরও উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকেন। কিন্তু সার্কুলার করাত দিয়ে কেটে কেটে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তখনও দেহটি দেখা যায়নি। তাই এনডিআরএফ ও ডিএমজি আলাদাভাবে সার্চ ক‌্যামেরা নিয়ে আসে। এই ক‌্যামেরাটি ভিক্টিম লোকেটিং ক‌্যামেরা নামেও পরিচিত। সেটি ধ্বংসস্তূপের অতি অপরিসর জায়গার মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। বাইরে মনিটরে নজর রাখেন উদ্ধারকারীরা। একজনকে দেখা যায়। কিন্তু তাঁকে বের করা সহজ হয়নি। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মহম্মদ জামিলের দেহ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে মৃতের সংখ‌্যা দাঁড়াল দশ।

[আরও পড়ুন: রাতের আড্ডার তাল কাটল ভেঙে পড়া বাড়ি, ‘মুঝে নিকালো’, আর্তনাদ শেরুর]

এদিকে শেরুর পরিবারের লোকেরা জানান, তিনি এলাকার অনেককেই বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করতেন। রবিবার রাতে কয়েকজনকে বিরিয়ানি খাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি শেরুর এক সঙ্গী শাহিল জানান, তাঁরা কয়েকজন মিলে বসে শেরুর সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখনই ঘটনাটি ঘটে। যিনি বিরিয়ানি আনতে গিয়েছিলেন, তিনি বেঁচে যান। শাহিলের কোমরে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর শরীরের নিচের অংশ থেকে রক্তপাত হচ্ছিল। এখন তা বন্ধ হয়েছে। শেরুর সন্ধান চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

[আরও পড়ুন: দুধ সাপ্লায়ার থেকে প্রোমোটার! রকেট গতিতে উত্থান গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ধৃত ওয়াসিমের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement