সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বছর নজরদারির পরে অবশেষে কুনোর জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছিল ১২টি চিতাকে। কিন্তু বন্য আবহাওয়াতে বেরনোর পরেই মৃত্যু হল নামিবিয়ার চিতা পবনের। মঙ্গলবার বিকেলে একটি ঝোপের পাশ থেকে উদ্ধার হয় এই পুরুষ চিতার দেহ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, জলে ডুবে চিতাটির মৃত্যু হয়েছে। পবনের মৃত্যুর পরে আপাতত ২৪টি চিতা রয়েছে কুনোয়। তার মধ্যে ১২টিই চিতাশাবক।
২০২২-২৩-এর মধ্যে আফ্রিকার নামিবিয়া-সহ নানা দেশ থেকে মোট ২০টি চিতাকে ভারতে আনা হয়েছিল। ধুমধাম করে সেই চিতাদের কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে সাতটি চিতা। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে বন দপ্তর। এই অবস্থায় অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে বন দপ্তর এবং চিতা স্টিয়ারিং কমিটি। টানা এক বছর ১২টি চিতাকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে।
[আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা কী? আবগারি মামলায় ‘সুপ্রিম’ প্রশ্নের মুখে ইডি-সিবিআই]
রবিবার চিতা স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান রাজেশ গোপাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, বর্ষার মরসুম শেষ হলেই নজরদারিতে থাকা চিতাগুলিকে কুনো জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসে মূল জঙ্গলে ছাড়া হবে তাদের। মায়ের সঙ্গে শাবকদেরও জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হবে। তবে এই ঘোষণার পর থেকেই চিতাদের জাতীয় উদ্যানে পাঠানো শুরু হয়।
কিন্তু বিশেষ নজরদারির ঘেরাটোপ থেকে বেরনোর পরেই পুরুষ চিতার মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে। কুনোর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, জলাশয়ের ধারে একটি ঝোপের পাশে সকাল সাড়ে দশটা থেকে পড়ে থাকতে দেখা যায় চিতার দেহ। সঙ্গে সঙ্গে পশু চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। পরে চিতাটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। চিতাটির দেহের অগ্রভাগ জলে ডুবে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান, জলে ডুবেই চিতাটির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে চিতাটির মৃত্যুর কারণ।