বাবুল হক, মালদহ: নদীবক্ষ থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হল। আর তা নিয়েই ফের তৈরি হল চাঞ্চল্য। মালদহের (Maldah) ভূতনির চরের হীরানন্দপুর থেকে উদ্ধার করা হয় দেহটি। এই নিয়ে দু’দিনে মোট তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে দেহটি পাঠিয়েছে পুলিশ। দেহটি এলাকার কারও নয় বলেই জানিয়েছে পুলিশ। দেহগুলি উত্তরপ্রদেশ কিংবা বিহার থেকে ভেসে আসা দেহ করোনা রোগীর বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার সকালে পচাগলা ওই দেহটি (Dead body) কচুরিপানার ভিড় থেকে উদ্ধার করা হয়। মৎস্যজীবীরাই প্রথমে দেখতে পান দেহটি। স্থানীয়দের খবর দেন তাঁরাই। এর আগে শনিবার সাতসকালে মালদহের মাণিকচকের ভূতনির চরের হীরানন্দপুর এলাকায় দু’টি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায়। কে বা কারা ওই দেহগুলি নদীতে ভাসিয়ে দিল, তা নিয়েই তৈরি হয় বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। মালদহের ঠিক পাশেরই রাজ্য বিহার। সেখান থেকে দেহগুলি ভেসে আসতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। করোনা কালে মৃতদের দেহ সৎকার করতে না পারার ফলে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে একের পর এক দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে। ওই ঘটনার ভিডিও নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ঘটনার সঙ্গে ভূতনির চরে দেহ উদ্ধারের যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে মাণিকচক ব্লক প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: শীতলকুচি কাণ্ডে CID রিপোর্টে চাঞ্চল্য, সোমবারই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ব্যালেস্টিক টিম]
উল্লেখ্য, করোনা রোগীদের দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই মালদহ জেলা প্রশাসনকে বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। মানিকচক ঘাট ঝাড়খণ্ড-লাগোয়া। একপাড়ে মালদহ। অন্যপাড়ে রাজমহল। প্রতিদিন লঞ্চে কয়েকশো মানুষ নদীপথে বিহার-ঝাড়খণ্ডে যাতায়াত করেন। তাই ওই ঘাটগুলিতে অতিরিক্ত নৌকা ও বাহিনী মোতায়েন রাখতে বলা হয়েছিল। করোনা রোগীর দেহ হলে পাঁচ ফুট গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের করোনা গ্রাফ এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তারই মাঝে এবার ভূতনির চরে ভেসে এল দু’টি দেহ। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখেচোখে যে আতঙ্কের ছাপ পড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।