স্টাফ রিপোর্টার: পরপর তিনবার রাজ্যের সেরা জেলা হাসপাতালের তকমা পেল এম আর বাঙুর হাসপাতাল। প্রাথমিক থেকে জেলা পর্যন্ত দেশের সব হাসপাতালের পরিকাঠামো ও চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ‘ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেম রিসোর্স সেন্টার’ সব হাসপাতালের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। নামকরণ হয়েছে ‘সুশ্রী কায়াকল্প।’ এই প্রকল্পে প্রসূতি ও শিশুমৃত্যু কমানো, হাসপাতালের আউটডোর, ইন্ডোর, অপারেশন থিয়েটারের পরিচ্ছন্নতা এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। দেখা হয় হাসপাতাল কতটা পরিবেশ বান্ধব। কেন্দ্রের তালিকা মেনে স্বাস্থ্য দফতর পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত প্রাথমিক থেকে জেলা, সব হাসপাতালের মূল্যায়ন করে। সেই মূল্যায়নে এম আর বাঙুর হাসপাতাল পরপর তিনবার প্রথম স্থান পেল।
শুক্রবার ২০২২-২৩ সালের ‘সুশ্রী কায়াকল্প’ ফল প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ১৩টি জেলা হাসপাতাল, ৩০টি মহকুমা, ১৬টি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, ২৭৪টি গ্রামীণ ও ব্লক প্রাথমিক হেলথ সেন্টার এবং ৫৭৬টি প্রাথমিক হেলথ সেন্টারকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। বিশেষজ্ঞ দল জেলা থেকে প্রাথমিক পর্যন্ত সব হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ করে। তার ভিত্তিতেই এম আর বাঙুর জেলা হাসপাতালের মধে্য পরপর তিনবছর প্রথম হল। ২০২১ সালে তারা প্রথমবার প্রথম হয়েছিল। গতবছর শিলিগুড়ি হাসপাতালের সঙ্গে যৌথভাবে প্রথম হয় বাঙুর।
[আরও পড়ুন: Primary Teacher Recruitment Scam: বড়সড় ধাক্কা, প্রাথমিকে ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাই কোর্ট]
ফের চলতি বছরে বাঙুর প্রথম হল। প্রথম হলে তিন বছরের জন্য ৫ লাখ টাকা পুরস্কার পাওয়া যায়। কিন্তু এবার প্রথম হলেও পুরস্কারের অর্থ পাবে না বাঙুর। হাসপাতালের সুপার ডা. শিশির নস্করের কথায়, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন হলেই হবে না। গতবছরের থেকে অন্তত ৫ শতাংশ বেশি নম্বর পেতে হয়। বাঙুর এবার ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় হয়েও বালুরঘাট প্রথম পুরস্কার পেল।’’ শিশিরবাবুর কথায়, “হাসপাতালের সাফাই কর্মী থেকে চিকিৎসক সবার ঐকান্তিক উদ্য়োগের জন্যই টানা তিনবার সেরার তকমা পেল বাঙুর।”
[আরও পড়ুন: মডেলের বাড়িতে ‘হামলা’ প্রাক্তন স্বামীর, নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের]