অর্ণব আইচ: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) র্যাগিংয়ে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক গ্রেপ্তার। পুলিশের জালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক প্রাক্তনী। ৯ আগস্ট অর্থাৎ ঘটনার রাতে যাদবপুর মেন হোস্টেলের গেট আটকে পুলিশকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে যাদবপুর থানায় আলাদা একটি মামলা হয়। সেই মামলায় শনিবার রাতে যাদবপুরের প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক’ বিষয়ের ছাত্র জয়দীপ ২০২১ সালে যাদবপুর থেকে পাস করে। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। যাদবপুর এলাকার বিক্রমগড়ে ভাড়া থাকা সত্ত্বেও হস্টেলে বেআইনিভাবে প্রায়শই থাকত জয়দীপ। ঘটনার রাতে নিজেই কয়েকজনকে নিয়ে তিনি গেট বন্ধ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। রাতে হস্টেলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি পুলিশকেও। জয়দীপের গ্রেপ্তারের পর যাদবপুরকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩।
[আরও পড়ুন: পদ গেলেও আপত্তি নেই, পঞ্চায়েতে জয়ীদের ‘অঙ্গীকার’পত্রে সই করাচ্ছে তৃণমূল]
শনিবার রাতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব সামলানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বিজেপির অধ্যাপক সংগঠনের নেতা হিসেবে পরিচিত। রাজভবনের বিবৃতিতে তাঁকে দ্রুত দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। যাদবপুরের উপাচার্যের পদটি শূন্য রয়েছে। গত ৪ আগস্ট রাজ্যপাল অস্থায়ী উপাচার্যর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্তকে। তিনি রাজভবনের ইচ্ছায় কাজ করছিলেন না বলে অভিযোগ। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। র্যাগিং বিতর্কের আবহেই ফের রাজভবন থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিজেপি ঘনিষ্ঠ এক অধ্যাপককে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হল।