সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। নান্দেরের পর এবার অওরঙ্গাবাদের সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হল ১৮ জনের। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, এর মধ্যে চারজনকে মৃত অবস্থাতেই আনা হয়েছিল হাসপাতাল। যদিও রাজ্যের একের পর এক হাসপাতালে অল্প সময়ে অত্যাধিক সংখ্যায় মৃত্যুর ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি-শিব সেনা সরকার। গেরুয়া শাসনে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে তোপ দেগেছে বিরোধীরা।
অওরঙ্গাবাদের ছত্রপতি শম্ভাজিনগরের সরকারি হাসপাতালে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। রোগীদের আত্মীয়রা চিকিৎসার গাফিলতি, নিম্নমানের পরিষেবা এবং ওষুধের অভাবের অভিযোগ তুললেও অভিযোগ খণ্ডন করেছেন হাসপাতালের ডিন সঞ্জয় রাঠোর। তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে রয়েছে দুই সদ্যোজাত। চার জনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। বাকিদের মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক, যকৃৎ-এর সমস্য, নিউমোনিয়ায়, কিডনির অসুখ। এছাড়াও অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে, বিষ খেয়ে এবং দুর্ঘটনায় আহত তিন রোগীর মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
[আরও পড়ুন: চিনা টাকায় চলছে সংবাদ ওয়েবসাইট? সাংবাদিকদের বাড়িতে তল্লাশি দিল্লি পুলিশের]
মাত্র চব্বিশ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নান্দের জেলায় শংকররাও চভন সরকারি হাসপাতালে মৃত্য হয়েছিল ২৪ জনের। পরে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা ৩১। সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, পর্যাপ্ত ওষুধের জোগান না থাকাতেই এই বিপত্তি ঘটেছে। হাসপাতালের ডিনের বক্তব্য, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। ওষুধের জোগান নেই। তবুও ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে এটাই হাজার হাজার মানুষের ভরসার হাসপাতাল।
[আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গুর দাপট অব্যাহত, দক্ষিণ দমদমে মৃত্যু প্রৌঢ়ার, বড়ঞায় প্রাণ গেল যুবকের]
রোগীমৃত্যু নিয়ে রাজ্যজুড়ে হইচইয়ের মধ্যে মঙ্গলবার হাসপাতালে পরিদর্শনে এসে ডিনকে দিয়ে ওই হাসপাতালের শৌচালয় পরিষ্কার করিয়েছেন বিজেপি (BJP) সাংসদ হেমন্ত প্যাটেল। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাতে ঝাঁটা নিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার করছেন ডিন। এই ঘটনার সময় হাসপাতালের অন্য কর্মী এবং আধিকারিকরা পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। হাসপাতালে একের পর এক রোগীর মৃত্যুর নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন সাংসদ। প্যাটেলের দাবি, এই মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকরাই দায়ী। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা উচিত।