রমেন দাস: ফের শিক্ষাঙ্গনে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ। বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি কলেজে হেনস্তার শিকার ছাত্র! অভিযোগ, আনন্দপুর এলাকার ওই বেসরকারি কলেজে কম্পিউটার বিষয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রকে র্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছে।
কলকাতার (Kolkata) গাঙ্গুলিবাগানের রামগড় এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রের বাবার অভিযোগ, দিনের পর দিন শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন ওই পড়ুয়া। অভিযোগ, শুধু মারধর নয়, প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই ছাত্রকে। এমনকী রক্তাক্ত করা হয়েছে বহুবার! ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আনন্দপুর থানায়। বেসরকারি কলেজ (Heritage Institute of Technology) কর্তৃপক্ষের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রের মা।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোর পর দেবীদুর্গার বোধন! অকাল পুজোয় মাতল উত্তর দিনাজপুরের এই গ্রাম]
অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই বেসরকারি কলেজের বিবিএ (BBA) বিভাগের দুই ছাত্র অভিযোগকারী ছাত্রকে উত্ত্যক্ত করত। শুধু উত্যক্ত নয়, অভিযুক্তদের কথা না শুনলে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হত বলে অভিযোগ। ঠিক এই আবহেই ফের আক্রান্ত হতে হয় ওই ছাত্রকে, এমনই দাবি করেছেন ‘আক্রান্ত’ ওই ছাত্র। ছাত্রের অভিযোগ, গত ১১ অক্টোবর কলেজের গেটের সামনে তাঁকে উত্যক্ত করা হয়। শুধু তাই-ই নয়, তাঁকে বিভিন্নভাবে কু-ইঙ্গিত দেওয়া হত বলেও অভিযোগ। দাবি, অভিযুক্তদের কথা না শুনলে মারধর করা হয়। এমনকী মারধরের পর তাঁর পায়ের নখ উপড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওই ছাত্রের।
দেখুন ভিডিও:
ছাত্রের বাবার দাবি, ৩১ অক্টোবর ফের তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কথা না শোনার অপরাধে সিনিয়র দাদাদের হাতে নিগ্রহের শিকার হতে হয়! তাঁকে মেরে দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়, তাঁর পরনের পোশাক ছিড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রের পরিবার। সূত্রের দাবি, অভিযুক্তরা এখনও পর্যন্ত পলাতক। কলেজ সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ওই বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কথাও বলেছেন ‘আক্রান্ত’ পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও।
[আরও পড়ুন: ঘড়ির কাঁটা ৯ টা পেরতেই শুনশান পথঘাট, স্টোনম্যান আতঙ্কে কাঁটা বীরভূমবাসী]
যদিও যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর ফের একের পর এক র্যাগিংয়ের অভিযোগ, শিক্ষাঙ্গনে ‘সিনিয়রদের’ হাতে ‘জুনিয়রদের’ আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ প্রশ্ন তুলেছে ফের। কলেজের মধ্যেই বারবার হেনস্তার পরেও রক্তাক্ত হওয়ার পরেও কেন কঠিন পদক্ষেপ নিল না কলেজ কর্তৃপক্ষ, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।