সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্যের বোঝা কত ভয়াবহ হয়ে উঠতে বার বার সেই নিষ্ঠুর ছবি দেখা গিয়েছে রাজস্থানের কোটা শহরে। তবে পরিস্থিতি শোধরানোর কোনও উদ্যোগ নেই। পড়াশুনার প্রবল চাপে ফের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল কোটায়। এবার তথাকথিত শিক্ষার 'শিকার' ১৭ বছরের এক নাবালক। রবিবার এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে স্থানীয় কোটা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই নাবালক বিহারের (Bihar) মোতিহারির বাসিন্দা আয়ুষ জয়সওয়াল। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে কোটায় (Kota) মহাবীর নগর এলাকায় পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকত সে। গত শনিবার রাত পর্যন্ত সে ঘরের বাইরে না আসায় আয়ুষের বন্ধুরা পেয়িং গেস্ট হাউসের মালিককে খবর দেন। এর পর বাড়ির মালিক পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে মৃতদেহ।
[আরও পড়ুন: নরসংহার থামল রাফায়! জেদ ছেড়ে ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা নেতানিয়াহুর]
স্থানীয় থানায় আধিকারিক মহেন্দ্র মারু বলেন, ' আইআইটি, জেইই-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার (Competitive Exams) প্রস্তুতি নিতে এখানে এসে থাকছিল ওই নাবালক। শনিবার রাতে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। আমরা কোনও সুইসাইড নোট পাইনি মৃতদেহের কাছ থেকে। আয়ুষের পরিবারকে ইতিমধ্যেই খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আসার পর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।' এদিকে রিপোর্ট বলছে, বিদ্যের বোঝায় চলতি বছরে এই নিয়ে ১১ জন পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল কোটায়।
[আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের চার মাস আগেই মারাঠাভূমে ‘জোটবার্তা’ উদ্ধবদের]
উল্লেখ্য, কোটায় লাগাতার আত্মহত্যার ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। যেখানে ভর্তির বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি হোস্টেল বা পেয়িং গেস্ট যেখানে পড়ুয়ারা থাকবে সেখানকার প্রতিটি ফ্যানে স্প্রিং ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাতে আত্মহত্যার ঘটনা আটকানো যায়। যদিও এ ক্ষেত্রে সে নিয়ম কেন মানা হয়নি তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর কোটায় পড়তে এসে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ২৭ জন পড়ুয়া।