সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা সেনা না, তবে এও মারাত্মক ‘লালফৌজ’। লাল পিঁপড়ের হামলায় জেরবার মানুষ গ্রামছাড়া হচ্ছে। গ্রামের রাস্তা, ক্ষেত-খামার, নদী-জঙ্গল, এমনকী বাড়ির ভেতরে কিলবিল করছে পিঁপড়ে। বসতে দিচ্ছে না, শুতে দিচ্ছে না। ওড়িশার এই গ্রাম কার্যত পিঁপড়ে আতঙ্কে কাঁপছে। মানুষের পাশাপাশি পিঁপড়ের কামড়ে কষ্ট পাচ্ছে কুকুর-বিড়ালের মতো প্রাণীরাও। বাধ্য হয়ে ওই গ্রামে প্রাণী বিজ্ঞানীদের পাঠিয়েছে প্রশাসন। বিজ্ঞানীরা রানি পিঁপড়েকে খুঁজছে।
বাঙালির চেনা পুরী জেলার অন্তর্গত গ্রাম ব্রাহ্মণসাহী। সেখানেই দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে পিঁপড়ে! স্থানীয়দের বক্তব্য, কোথাও দু’দণ্ড দাঁড়ানো বা বসার উপায় নেই। সঙ্গে সঙ্গে হাজির হচ্ছে শয়ে শয়ে, হাজারে হাজারে পিঁপড়ের দল। কামড়ে জ্বলে যাচ্ছে গা-হাত-পা। ফুলে উঠছে শরীরে বিভিন্ন জায়গা। জানা গিয়েছে সব মিলিয়ে পিঁপড়ের পরিমাণ নাকি কয়েক লাখ। কিন্তু হঠাৎ এমনটা হল কেন?
[আরও পড়ুন: প্রথম স্ত্রীর হাজিরায় ভেস্তে গেল দ্বিতীয় বিয়ে, পুলিশ দেখেই মণ্ডপ ছেড়ে পালাল বর]
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি বন্যায় ডোবে গ্রাম। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে পিঁপড়ে সংক্রান্ত যন্ত্রণা। বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়েছে কয়েকটি পরিবার। এখনও পর্যন্ত তিনটি পরিবার লাল পিঁপড়ের হামলার কারণে অন্য গ্রামে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। পিঁপড়ের হামলায় ভিটেছড়া লোকনাথ দাশ বলেন, “কোনওদিন এজিনিস দেখিনি। পিঁপড়ের হামলায় খেতে পারছি না, ভাল করে ঘুমোতে পারছি না, ছোটদের পড়াশুনো লাটে উঠছে।”
[আরও পড়ুন: বিজেপির সুবিধা করে দিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালায় RSS-VHP, দাবি প্রাক্তন স্বয়ং সেবকের]
ব্রাহ্মণসাহীর ‘লাল ফৌজের’ হামলা রুখতে সেখানে হাজির হয়েছেন ওড়িশার কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজ সেরেছেন তাঁরা। প্রাণী বিজ্ঞানী সঞ্জয় মোহান্তি বলেন, “নদীর ধার ও ঝোপজঙ্গলে ছিল এই লাল পিঁপড়ে। বন্যার ওই এলাকা ডুবে যাওয়ায় লোকালয় ঢুকে পড়েছে। তার ফলেই বিপত্তি। কোন পথ ধরে গ্রামের ভেতরে ঢুকছে পিঁপড়ের দল, তা খোঁজ করা হচ্ছে। সেটি পাওয়া গেলেই পেস্টিসাইডের ব্যবহারে তাদের গতিবিধি রুখে দেওয়া যাবে। রানি পিঁপড়ের খোঁজ করা হচ্ছে। তাকে খতম করতে পারলেই বাকি পিঁপড়ের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।”