প্রসূন বিশ্বাস: ম্যাচ হারের পর একাই এলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। কিছুটা হতাশ। হতাশ হওয়ারই কথা। তবে এই একটা ম্যাচ নিয়ে আর ভাবতে চাননা মোহনবাগানের বর্ষীয়ান কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। বরং মরশুমের শেষ ম্যাচে হেরে সাংবদিক সম্মেলনে এসে এই হারকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে পরপর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলাকেই দায়ী করলেন তিনি।
হাবাস মনে করছেন লিগ পর্বের শেষ দিকের কয়েকটি ম্যাচ-সহ সেমিফাইনালেও ডু অর ডাই পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল দিমিত্রি পেত্রাতোসদের। যে ম্যাচগুলোকে তাঁর ফুটবলাররা ডু অর ডাই ম্যাচের আখ্যা দিয়েছিল। এই রকম পরপর কঠিন ম্যাচ খেলতে খেলতে মানসিকভাবে ক্লান্তি এসে গিয়েছিল কামিন্সদের (Jasom Cummins)। সেজন্যই ফাইনালে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি জনি কাউকোরা। এদিন তিনি বলছিলেন, “আপনারা দেখতেই পেরেছেন পরপর পাঁচটা কার্যত ফাইনাল খেলেছি। এটা শুরু হয়েছিল সেই পাঞ্জাব ম্যাচ থেকে। তারপর বেঙ্গালুরু ম্যাচ। এমনকী এই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যে ম্যাচ জিতে শিল্ড জিতেছিলাম সেটাও ফাইনালই ছিল বলতে পারেন। আর এখন আরও একটা ম্যাচ।”
[আরও পড়ুন: প্রতিবাদের জের, রোহিত ভেমুলার বন্ধ তদন্ত ফের চালুর আশ্বাস পুলিশের]
সাদিকুর না থাকাটাও একটা ফ্যাক্টর মনে করছেন তিনি। সাদিকু থাকলে পরিবর্ত ফুটবলার হিসাবে আক্রমণে গতি আনতে পারতেন বলে মনে করছেন হাবাস। তিনি যোগ করেন, “সাদিকু থাকলে আরেকটু আগ্রাসন আনতে পারত হয়তো। যেটার অভাব বোধ করেছি আজ। তবে ইতিহাসকে তো আর বদলাতে পারব না। কার্ড সমস্যার জন্য আজই ওকে পাওয়া গেল না।”
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত’, সন্দেশখালির ‘স্টিং’ ভিডিও হাতিয়ার করে তোপ অভিষেকের]
শনিবাসরীয় ফাইনালের পরই কী তিনি কি কোচিং ছেড়ে দিচ্ছেন? শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর উত্তরের অপব্যাখ্যা হয়েছে বলে জানান মোহনবাগান কোচ। তিনি আরও বলেন,“আগামী মরশুমের জন্য কি পরিকল্পনা যদি জানতে চান তাহলে বলতে পারি আমি ক্লাবের সঙ্গে কথা বলছি আরও একবছর চুক্তি নবীকরণের বিষয়ে। গতকাল আমি বলেছিলাম ভারতে আমার ফুটবল কেরিয়ার শেষের দিকে। তবে এটা বলিনি এই ফাইনালের পরেই কোচিং ছেড়ে দেব।” তবে এদিন প্রতিপক্ষ দলকে প্রশংসা করেন মোহনবাগান কোচ। স্বীকার করে নেন তাদের থেকে মুম্বই এদিন ভালো খেলেছে।