ধীমান রায়, কাটোয়া: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অবস্থান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। মন্ত্রিত্ব ত্যাগের পর তা আরও জোরালো হয়েছে। কিন্তু এবিষয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। জনগনের মুখোমুখি হলেও রাজনীতি প্রসঙ্গে একটি মন্তব্যও করেননি। এদিকে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও দল ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। সেই কারণে প্রাক্তনমন্ত্রী সঙ্গে দলের মান-অভিমান মিটে যাবে বলেই আশাবাদী তৃণমূল নেতারা। একই কারণে বিধায়ক প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।
রবিবার নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু সোমবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লকের মাজিগ্রামে দলীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেও এ বিষয়ে মন্তব্য করলেন না অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর কথায়, “শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যনেতা। অভিষেকও তাই। ওরা কী বলল তার মধ্যে আমি ঢুকতে রাজি নই। তবে গ্রামগঞ্জের মানুষ মাটিতেই পা দিয়ে রাজনীতি করে।” পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল এদিন বলেন, “শুভেন্দু এখনও দল ছাড়েননি। আমাদের দলেই রয়েছে। তাই তাঁকে নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নই।” শেষ কয়েকদিনে একাধিকবার কার্যত একই কথা বলেছেন সৌগত বসু।
[আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতা-সহ একাধিক দাবি, পুরুলিয়ায় উদ্ধার মাওবাদী পোস্টার-ব্যানার ]
উল্লেখ্য, এদিন মাজিগ্রামে বিশ্বেশ্বরী হাইস্কুলে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। মঙ্গলকোট বিধানসভার মাজিগ্রাম, ভাল্যগ্রাম ও আলমপুর এই তিন পঞ্চায়েত এলাকার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বুথভিত্তিক কর্মীসম্মেলনে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মাল, মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য মুন্সি রেজাউল হক-সহ ব্লকের অন্যান্য নেতৃত্ব। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি ওই তিন পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি বুথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে দলের সাংগঠনিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “মানুষের হয়ে কাজ করুন। মানুষের পাশে থাকুন।তাহলে মানুষই আমাদের জেতাবেন। বিরোধীদের চক্রান্ত ব্যর্থ হবে।”