নন্দন দত্ত, বীরভূম: এবার পুলিশের জালে অনুব্রত (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ টুলু অর্থাৎ নিজামুদ্দিন মণ্ডল। শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, পুরনো একটি অশান্তির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে টুলুকে।
মহম্মদ বাজার থানা এলাকার বাসিন্দা টুলু ওরফে নিজামুদ্দিন মণ্ডল। শিল্পপতি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। তাঁর পেট্রল পাম্প, পাথরখাদান-সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে। তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলেই তাঁকে জানতেন স্থানীয়রা। কেষ্টর গ্রেপ্তারির পর স্বাভাবিকভাবেই গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের নজর পড়েছিল টুলুর দিকে। কিছুদিন আগে তাঁর বেশ কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। গত পরশু ইডির তরফে নোটিস পাঠানো হয়েছিল টুলুকে। তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়।
[আরও পড়ুন: সিউড়ির যুবক খুনের ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা বিরোধীদের, ‘গ্রাম্য বিবাদ’, দাবি শাসকদলের]
নির্দেশ মেনে দিল্লিতে ইডির দপ্তরে হাজিরা দেন টুলু। শনিবার রাতেই বাড়ি ফেরেন তিনি। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। কিন্তু কেন এই গ্রেপ্তারি? পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকমাস আগে মহম্মদবাজারের তড়িচা গ্রামে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। তাতে নাম জড়িয়েছিল টুলু মণ্ডলের। সেই ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রেপ্তারি। রবিবার টুলুকে তোলা হচ্ছে সিউড়ি আদালতে।
প্রসঙ্গত, পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডল প্রথম জীবনে খাদান কর্মী ছিলেন। মাত্র অল্পদিনের মধ্যে প্রভাব এলাকায় বিস্তার করেন তিনি। অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অভিযোগ, গরুপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত টুলু। কিছুদিন আগে ব্যবসায়ীর গালিলা ভবনে হানা দেয় ইডি ও সিবিআই। পাইকপাড়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সাজানো পল্লির বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকেন আধিকারিকরা।