গোবিন্দ রায়: গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারির পর ১০০ দিনের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। তারপরেও মেলেনি জামিন। উলটে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে এবার দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জামিনের আরজি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অনুব্রত মণ্ডল। ৩০ নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার এই মামলার শুনানি।
গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আরজি নিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। পালটা দিল্লি হাই কোর্টে গেলেন অনুব্রত। তাঁর হয়ে আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। সূত্রের খবর ১ ডিসেম্বর তৃণমূল নেতার আরজির শুনানি। তার আগে ৩০ নভেম্বর কলকাতা হাই কোর্টে অনুব্রত জামিনের আরজির শুনানি।
[আরও পড়ুন: ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস! ‘পর্ষদের সম্মানহানির চেষ্টা’, সাফাই পর্ষদ সভাপতির]
অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে জেরা করেছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নয়া তথ্য মিলেছে। সূত্রের খবর, সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরা করা হয়। কীভাবে আর্থিক লেনদেন চলত, এর সঙ্গে লটারির কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করে ইডি। একটানা প্রায় সাড়ে পাঁচঘণ্টা ধরে জেরার পর গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। তার আগে অবশ্য ৫ আগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। আপাতত আসালসোলের জেলে রয়েছেন।
২৫ নভেম্বর আসানসোল আদালতে তোলা হয় অনুব্রতকে। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আসানসোল জেলা আদালত। তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদনই জানানো হয়নি। ফলে সিবিআইয়ের (CBI) আবেদনে মান্যতা দিয়ে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।