সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু বোমা। সভ্যতার বুকে এক দগদগে অভিশাপের মতো। কিন্তু আজও বিশ্বের কমবেশি সব দেশেরই ভাঁড়ারে মজুত রয়েছে সেই মারণাস্ত্র। তবে কখনও যদি কেউ সেই অস্ত্রের প্রয়োগ করে, সে যেন মানুষই হয়। কোনও এআই নয়। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুজনেই এই বিষয়ে একমত হলেন পেরুতে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক ইকনোমিক কর্পোরেশনের সম্মেলনে।
হোয়াইট হাউসের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে একমত দুই রাষ্ট্রনেতা। সামরিক ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তির উন্নতিসাধনের সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়টিও খেয়াল রাখার উপরে জোর দিয়েছেন তাঁরা।'
সাম্প্রতিক অতীতে বার বার গুঞ্জন শোনা গিয়েছে, বেজিং ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভারে। অন্যদিকে আমেরিকাও দীর্ঘদিন পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাবও দিয়ে চলেছে গত কয়েক মাস ধরে। এই পরিস্থিতিতে এই প্রথম দুই দেশের তরফে একযোগে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে বিবৃতি দিতে দেখা গেল দুই দেশের রাষ্ট্রনেতাকে। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণেই নাকি বিলুপ্তি ঘটতে পারে মানব সভ্যতার! এমন আশঙ্কা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বটের আবির্ভাবের পর থেকে সে সম্ভাবনা আরও জোরাল হয়েছে। এর আগে এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়ে গিয়েছেন স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিজ্ঞানী। একই সুর শোনা গিয়েছে সদ্য নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর মুখেও। ২০২৪-এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণার জন্য পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেয়েছেন জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন। অথচ সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েই সকলকে সতর্ক করছেন খোদ হোপফিল্ড! তাঁর দাবি, এআই সংক্রান্ত সাম্প্রতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত ‘আপত্তিকর’। যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে ‘সম্ভাব্য বিপর্যয়ে’র জন্য প্রস্তুত হতে হবে মানব সভ্যতাকে। এবার বাইডেন-জিনপিংয়ের কথাতেও সেই উদ্বেগই ফুটে উঠল।