শেখর চন্দ্র, আসানসোল: সিবিআইয়ের পর এবার ইডি (ED) গ্রেপ্তার করল অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। তবে কি সায়গল হোসেনের মতো অনুব্রতকেও দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হবে, ক্রমশ জোরাল হচ্ছে জল্পনা।
বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা থেকে সড়কপথে আসানসোলে রওনা দেন ইডি’র তদন্তকারীরা। সাড়ে ১১টা নাগাদ ল্যাপটপ, প্রিন্টার ও প্রচুর নথি-সহ আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে ঢোকেন তিন তদন্তকারী আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে ছিল ভিডিওগ্রাফির যন্ত্রপাতি। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে জানতে নানা প্রশ্ন করা হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mandal)।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনে লাগাতার সহবাস! প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় তরুণী]
অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে জেরা করেছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নয়া তথ্য মিলেছে। সূত্রের খবর, সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরা করা হয়। কীভাবে আর্থিক লেনদেন চলত, এর সঙ্গে লটারির কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তাও জানার চেষ্টা করে ইডি। একটানা প্রায় সাড়ে পাঁচঘণ্টা ধরে জেরার পর গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল।
উল্লেখ্য, এর আগে গত আগস্টে অনুব্রত মণ্ডলকে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির খোঁজ পায় সিবিআই। তাঁর মেয়ে সুকন্যারও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ওই সম্পত্তির উৎস ঠিক কী, তা ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। তবে কি অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি রওনা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, উঠছে প্রশ্ন। শুক্রবার অনুব্রতকে আদালতে পেশের আগে এই সম্পর্কিত কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।