ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: আতিথ্য গ্রহণ করে, গানবাজনা শুনে, পাত পেড়ে তৃপ্তি করে খেলেও গৃহকর্তা আবেদন শোনেননি। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) আপ্যায়ণকারী বোলপুরের সেই বাউল নিজের আরজি পৌঁছেই দিতে পারেননি তাঁর কাছে। আর সেটাই বোধহয় এই মুহূর্তে তৃণমূলের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠল রাঙামাটিতে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে। মঙ্গলবার জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) জানালেন, বাসুদেব দাস বাউলের মেয়ের উচ্চশিক্ষার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেবে রাজ্য সরকার।
রবিবার বোলপুর সফরে এসে তাঁর গৃহে আতিথ্য গ্রহণ করা অমিত শাহকে বাসুদেব বাউল নিজের মেয়ের উচ্চশিক্ষায় সাহায্যের কথা জানাতে চেয়েছিলেন। আবেদন করতে চেয়েছিলেন মেয়ের উচ্চশিক্ষার যদি কোনও ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু তাঁর কথা কেউ শোনেনি। অমিত শাহর সঙ্গে থাকা অন্যান্য নেতারা নাকি তাঁকে বলতেই দেননি কিছু। মঙ্গলবার এলাকার তৃণমূলের পার্টি অফিসে বাসুদেব বাউল নিজেই সেই অভিযোগ করলেন। বলেন, ”আমি মেয়ের উচ্চশিক্ষার প্রশিক্ষণের জন্য সাহায্য চাইতাম, কিন্তু আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি।”
[আরও পড়ুন: প্রোমোটিং বিবাদ নাকি রাজনৈতিক সংঘাত? মধ্যমগ্রামে বিজেপি কর্মীর বাবা খুনে চাঞ্চল্য]
বোলপুরে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিসে বসে বাসুদেব বাউলের মুখে এ কথা শোনার পরই অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূলের শিক্ষা সেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে বাসুদেব বাউলের মেয়ের বিএড বা ডিএলএডি প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আশ্বাস দেন, দলও তাকে সবরকম সাহায্য করবে।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি আশ্রয় না দিলে তৃণমূল পার্টিটাই থাকত না’, দলবদলের পর প্রথম সভা থেকেই তোপ শুভেন্দুর]
বাসুদেব বাউলের বাড়িতে অতিথি হয়ে যাওয়ার আগে শনিবার, মেদিনীপুর সফরে এক কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারেন অমিত শাহ। সনাতন সিং নামে ওই কৃষকের অভিযোগ, তিনি চলে যাওয়ার পর তাঁর বাড়ির দেওয়াল থেকে ‘বাংলা আবাস যোজনা’ মুছে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লিখে দেওয়া হয়েছিল। এরপর বোলপুরের বাসুদেব বাউলের মেয়েকে তৃণমূলের সাহায্য দান। এসব থেকেই স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের রাজ্য সফর এবং বিভিন্ন পরিবারে আতিথ্য গ্রহণ নিয়ে রাজনীতি বেশ জমে উঠেছে।