সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসানসোল থেকে কলকাতার পথে অনুব্রত মণ্ডল। জোকা ইএসআই হাসপাতালে করা হবে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা। ফিট সার্টিফিকেট পাওয়া গেলে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে তুলে দেওয়া হবে ইডি’র হাতে। সেক্ষেত্রে আজ মঙ্গলবার দোলের দিনই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, গরু পাচারে অভিযুক্ত শাসকদলের দাপুটে নেতাকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। সকাল ৭টা নাগাদ অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) সংশোধনাগার থেকে বার করে আনা হয়। আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর আদেশের পরই কেষ্টকে কলকাতার উদ্দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে।
গতকাল, সোমবার বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী স্পষ্ট বলেন, হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকরী হবে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটকে এসকর্ট দিয়ে অনুব্রতকে নিয়ে যেতে হবে। সেন্ট্রাল হাসপাতালে অনুব্রতর শারীরিক পরীক্ষা হবে। তারপর সেখান থেকে ইডির দায়িত্বে গোটা বিষয়টি চলে যাবে। সোমবার সকালে অবশ্য রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা বাহিনী না দেওয়ার বিষয়টি নস্যাৎ করে দেয়।
ইডির করা মামলায় অনুব্রতকে দিল্লির রাউস অ্যভিনিউ আদালতে হাজির করানোর জন্য প্রায় দু’মাসেরও বেশি সময়ে নানা আইনি জটিলতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। শেষমেশ তাঁকে দিল্লি যেতেই হচ্ছে। দিল্লি যাত্রা রুখতে কলকাতা এবং দিল্লি হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা। দিল্লিতে আগে থেকেই রয়েছে এই একই মামলায় অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেন ও গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক।
[আরও পড়ুন: ‘অন্তর্ঘাতের জন্যই সাগরদিঘি হাতছাড়া তৃণমূলের’, দাবি মদন মিত্রের, পালটা দিল বিরোধীরা]
উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেলে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনও হাসপাতালে অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট হাতে পেতে হবে ইডিকে। তারপরই বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যাবে অনুব্রতকে। বিমানেও থাকবেন একজন মেডিক্যাল অফিসার। হাই কোটের অর্ডার কপি ইডি পাঠিয়ে দিয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষকে। রবিবার পুলিশ বাহিনী চেয়ে রিকুইজিশন পাঠানো হয়েছিল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটকে।