সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ষষ্ঠবারও সিবিআই (CBI) হাজিরা এড়িয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলার তদন্তে শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ পেয়েও তিনি যেতে পারেননি। যাননি তাঁর আইনজীবীও। গরু পাচার মামলা ছাড়াও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) তলব করা হয়েছে রবিবার দুপুরে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে তাঁর যা শারীরিক অবস্থা, তাতে এই মুহূর্তে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলে ইমেল মারফত সিবিআইকে জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি নিজেই। চেয়ে নিয়েছেন চার সপ্তাহ সময়। সন্ধের পর তাঁর আইনজীবী সাংবাদিক বৈঠকেও একই বক্তব্য জানান।
গত ৬ এপ্রিল কলকাতায় আসার পথে অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভরতি হন অনুব্রত মণ্ডল। একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন সেখানে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সন্ধেবেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ফেরেন। আপাতত সেখানেই রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা ৪ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁকে।
[আরও পড়ুন: বাদ ফৈজের কবিতা, ধর্মনিরপেক্ষতা সংক্রান্ত একাধিক অধ্যায়! CBSE’র নয়া সিলেবাস ঘিরে বিতর্ক]
শনিবার বিকেলে হাজিরার নোটিস পেয়ে বীরভূমের তৃণমূল নেতা সিবিআইকে ইমেল করে জানান, তিনি অসুস্থ, হাঁটতে পারছেন না। চার সপ্তাহ বিশ্রাম নেবেন। তারপর সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিতে পারবেন। সেই সময়টুকু যেন তাঁকে দেওয়া হয়, সেই আবেদন জানিয়েছেন ইমেলে। সিবিআই সূত্রের খবর, অসুস্থ অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর যাতে কোনও সমস্য়া না হয়, সেই কারণে এক বিশেষ মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে তাদের তরফে।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় বিশেষভাবে সক্ষম কিশোরীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, গ্রেপ্তার পুলিশকর্মী]
এই ইমেল পাওয়ার পর সন্ধে ৭টা নাগাদ অনুব্রতর চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে যান সিবিআইয়ে প্রতিনিধিদল। তবে নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে কি না, সে বিষয় মুখে কুলুপ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। জানা গিয়েছে, অনুব্রতর ইমেলটি দিল্লিতে সিবিআই দপ্তরে ফরোয়ার্ড করা হয়েছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া, সিবিআইয়ের সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলছেন অনুব্রত। সিপিএম নেতারা আবার প্রশ্ন তুলেছেন, কেন সিবিআই দপ্তরে যেতে এত ভয় পাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল? এখন সিবিআই অনুব্রত ইমেল-আরজিতে কী পদক্ষেপ নেয়, সেটাই দেখার।