স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা ও বোলপুর:গরু পাচারে বিদেশি মুদ্রা? এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mandal) নোটিস দিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, অন্য একটি নোটিসে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবও করা হয়েছে এবং তিনি সময় চেয়েছেন।
শুক্রবার সকালে বোলপুরের ক্যাম্প অফিস থেকে সিবিআইয়ের (CBI) একটি টিম বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বাড়িতে যায়। সেখানেই সুকন্যা মণ্ডলকে ৯১ সিআরপিসি-তে নোটিস দেওয়া হয়। ওই নোটিসে সুকন্যার ব্যবসা ও তাঁর সংস্থা বা কোম্পানির যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তাঁর ব্যাংকের নথিও সিবিআই দেখতে চেয়েছে। যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে টাকা ঢুকেছে বলে সূত্র পেয়েছে সিবিআই, সেই ব্যাঙ্কের আধিকারিককে ডেকে অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিড়াল কামড়েছিল মাকে, ভ্যাকসিন পেল দুধের সন্তান! সরকারি হাসপাতালে বেনজির ‘গাফিলতি’]
এদিন সিবিআইয়ের পক্ষে নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন পরিচারক জ্যোতির্ময় দাসকে। ওই ব্যক্তি অনুব্রতর বাড়িতে রাঁধুনির কাজ করতেন। তাঁর অ্যাকাউন্টেও বেনামে অনুব্রত মণ্ডল টাকা রেখেছেন বলে সিবিআইয়ের হাতে নথি উঠে এসেছে। দু’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর শান্তিনিকেতনের অস্থায়ী সিবিআই শিবির থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সিবিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, অনুব্রতর মেয়েকে ওই নোটিসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তিনি অথবা তাঁর প্রতিনিধি বা মেলের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা অ্যাকাউন্টের টাকার হিসাব অস্থায়ী শিবিরে পাঠিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। নোটিসের ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এটি সম্পূর্ণ তদন্তের বিষয়। যিনি নোটিস পেয়েছেন, তিনি ও তাঁর আইনজীবীরা বলতে পারবেন। আমার এই মুহূর্তে কোনও বক্তব্য নেই।’’
সিবিআইয়ের (CBI) সূত্র জানিয়েছে, সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত এক বছরে জমা পড়েছে বেশ কিছু পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা, যার সিংহভাগ জুড়েই রয়েছে ডলার। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, বাংলাদেশে গরু পাচারের টাকা ডলারে পরিবর্তন করে সরাসরি পাঠানো হত ওই অ্যাকাউন্টে। এভাবে টাকা ছাড়াও কয়েকদিন অন্তর প্রচুর বিদেশি মুদ্রা জমা পড়েছে অ্যাকাউন্টে। কতদিনে কত টাকা ও বিদেশি মুদ্রা ব্যাংকে জমা সেই নথিই পরীক্ষা করছে সিবিআই। জানার চেষ্টা হচ্ছে মুদ্রার উৎসগুলি। সিবিআইয়ের অভিযোগ, বেশ কিছু বিদেশি ব্যাংক থেকেও পাঠানো হয়েছে মুদ্রা।