সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমার চোখে ঠোঁটে গালে’ রং লেগে রয়েছে! বিয়ের পর প্রথম দোলটা হয়তো এমনও হতে পারত অনুপম ও প্রস্মিতার। কিন্তু বাধ সাধল অনুপমের ব্যস্ততা। তাই তো দোলের দিন নতুন বউ প্রস্মিতাকে ছেড়ে অনুপম পাড়ি দিচ্ছেন অন্যদেশে। আর তাই এবারের বসন্ত একান্তেই কাটাবেন প্রস্মিতা। অনুপমকে ছাড়াই এবার তাঁর রঙের খেলা।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনুপম ও প্রস্মিতা জানিয়েছেন, ”ঠিক দোলের সময়ে কাজের সূত্রে ঢাকায় যেতে হবে। তবে আমি খুব একটা রংখেলায় আগ্রহী নই। কিন্তু বসন্ত আমার খুবই পছন্দের।”
প্রস্মিতার গলাতেও অনুপমের সুর। অনুপম ঘরনি জানালেন, ”রংখেলা আমারও খুব একটা পছন্দের নয়। তবে এই সিজনটা খুবই পছন্দ। এই সময় চারিদিকটা রঙে ভরে যায়। তবে এবারের দোল মা-বাবার সঙ্গেই কাটাবো। ”
[আরও পড়ুন: ‘সিরিয়াল ছেড়েছি তৃণমূলের জন্য’, ভোটের মুখে বড় কথা লাভলির!]
অনুপম-প্রস্মিতার বিয়ের বয়স এখনও একমাস হয়নি। জমিয়ে নতুন সংসারে ব্যস্ত দুই শিল্পী। প্রস্মিতা জানিয়েছেন, ”খুব ভালো রয়েছি আমরা। সব পজিটিভ ও সুন্দর। যেহেতু দুজনেই অনেকদিন ধরে বন্ধু, তাই এক কমফোর্ট লেবেল রয়েছে।” অনুপম ও প্রস্মিতার কথায়, তাঁদের দুজনের জীবনের একটাই রং, সেটা গানের সুর।
অনুপম-প্রস্মিতা দুজনেই গানের জগতের মানুষ। আর সেই সূত্রে পরিচয়। এর আগে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রস্মিতা জানিয়েছিলেন, এক স্টুডিওতে তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল। তখন থেকেই বন্ধুত্ব। সম্পর্ক শুরু হয় প্রায় এক বছর আগে। দুজনের পরিবারের পক্ষ থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২০১৫ সালে পিয়া চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছিলেন অনুপম রায়। ছবছরের মাথায় বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন। খবর জানিয়ে অনুপম লিখেছিলেন, “আমাদের এই সফর খুবই সুন্দর ছিল, অত্যন্ত ভাল অভিজ্ঞতা ও সুন্দর কিছু স্মৃতি। যাই হোক, ব্যক্তিগত জীবনের কিছু মতপার্থক্যের জেরে আমাদের মনে হয়েছে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আলাদা হওয়ার বাঞ্ছনীয়। আমরা খুবই ভাল বন্ধু ছিলাম ও তাই-ই থাকবো। একে অন্যের খেয়ালও রাখব।”
[আরও পড়ুন: মুখ ফিরিয়েছেন বাসন্তীদেবীর সন্তানরা! চিকিৎসার জন্য অর্থসাহায্য চাইলেন ভাস্বর]