সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসুস্থ BCCI সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly) দেখতে সোমবার শহরে এলেন প্রাক্তন বোর্ড কর্তা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। কিন্তু এখানে এসেও রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকতে পারলেন না তিনি। ‘বহিরাগত’ ইস্যুতে তৃণমূলকে বিঁধলেন তিনি। পালটা জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়ও।
গত শনিবার মহারাজ অসুস্থ হয়ে পড়ার পরই গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। হাসপাতালে মহারাজকে দেখতে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় থেকে শুরু করে আরও অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সৌরভকে দেখতে এলেন প্রাক্তন বোর্ড কর্তা অনুরাগ ঠাকুর। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় ‘বহিরাগত’ ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধলেন তিনি। তিনি বলেন, ”কেন্দ্রের কোনও মন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এলে যাঁরা বলছেন বহিরাগত, তাঁদের কাছে আমার প্রশ্ন, কারা এলে বলবেন যে এখানকার লোক? ভারত সরকারের কোনও মন্ত্রী কি পশ্চিমবঙ্গে আসতে পারেন না? এলে কি তাঁরা অপরাধ করছেন?” এর সঙ্গেই যোগ করেন, “এখানে আসার অধিকার সকলের আছে।” এরপরই অবশ্য তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় পালটা জবাব দেন। বলেন, “এই অনুরাগই দিল্লিতে ‘গোলি মারো’ স্লোগান তুলেছিলেন। তিনি নিজে হিমাচলের মাণ্ডির বিধায়ক। সেখানে তো এখন বরফ পড়ছে। কিন্তু অনুরাগ এখানে কী করছেন?”
[আরও পড়ুন: সিডনি টেস্টের আগে সুখবর, রোহিত,পন্থ-সহ টিম ইন্ডিয়ার প্রত্যেকেই করোনা নেগেটিভ]
এদিকে, উডল্যান্ডস থেকে অসুস্থ সৌরভকে দেখে বেরনোর পর অনুরাগ জানান, “আমাকে দেখে সৌরভ হেসেছে। ওকে দেখে সুস্থ লাগছে। আশা করি, খুব শিগগিরি নিজের কাজে ফিরবে সৌরভ।” বিসিসিআই সভাপতিকে নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে অনুরাগ আরও জানান, ”সৌরভকে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আমি চিনি। ক্রিকেটার থেকে প্রশাসক এমনকী ব্যক্তিগতভাবেও আমাদের দীর্ঘদিনের পরিচয়। ও ফাইটার। এর আগেও লড়াই করেছে। এবারও দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরবে।”
এদিন দুপুরেই উডল্যান্ডস হাসপাতালে বৈঠকে বসে মেডিক্যাল বোর্ড। তাতে ৯ জন সদস্য ছাড়াও জুম কলে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেট্টি, চিকিৎসক রমানাথ পাণ্ডা, চেন্নাইয়ের স্যামুয়েল ম্যাথু। এছাড়াও ছিলেন আরও দু’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বৈঠকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসকরা জানান, সৌরভ আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ। মঙ্গলবার দেবী শেট্টি এবং তাঁর মেডিক্যাল টিম এসে আরেকদফা মহারাজের শারীরিক পরীক্ষা করবেন। তারপরই দু-একদিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে মহারাজকে। মেডিক্যাল বোর্ড সর্বসম্মতিভাবেই ঠিক করেছে, বাকি দু’টি ব্লকেজ দূর করতে এখনই সৌরভের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হবে না। তাঁকে কিছুদিন বাড়িতে রাখা হবে। সেখানেই নিয়মিত তাঁর শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করবেন চিকিৎসকরা। তা দেখার পরেই সৌরভের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে