সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপরে হওয়া নির্যাতনের বার্তা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। এভাবেই নয়াদিল্লি থেকে বাংলার তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। পাশাপাশি কৃষক আন্দোলন নিয়ে তাঁর দাবি, মোদি সরকারের সব সিদ্ধান্তই কৃষকদের স্বার্থে।
সন্দেশখালি ইস্যুতে আপাতত উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের এক অনলাইন পোর্টাল উদ্বোধনের দিন অনুরাগকে এপ্রসঙ্গে বলতে দেখা গেল, ”পশ্চিমবঙ্গের মা, বোন ও মেয়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে সন্দেশখালির মহিলাদের উপরে হওয়া নির্যাতনের কথা।”
[আরও পড়ুন: ‘এমন সত্যি যা শিহরিত করে’, সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের নিয়ে তথ্যচিত্র প্রকাশ বিজেপির]
পাশাপাশি সাংবাদিক সন্তু পান প্রসঙ্গেও সরব হন তিনি। তাঁর মতে, ”সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করা, তাঁদের গ্রেপ্তার করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এরকম হওয়া কখনওই উচিত নয়। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের এটা অপমান। পশ্চিমবঙ্গে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় রাখা মমতা সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমি ওঁর কাছে বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আর্জি জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে ভয়ংকর অভিযোগ করেছেন এলাকার মহিলারা। জানিয়েছেন, মিটিংয়ের নাম করে এলাকার মহিলাদের গভীর রাতে নাকি ডেকে পাঠানো হত পার্টি অফিসে। ভোররাতে তাঁদের পাঠানো হত বাড়িতে। এই বিতর্কে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
[আরও পড়ুন: তিন বছরেই বিশ্বে তৃতীয় হবে ভারতের অর্থনীতি, মোদির স্বপ্নপূরণের পূর্বাভাস আন্তর্জাতিক সংস্থার]
এদিকে কৃষক বিক্ষোভ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ”মোদি সরকার কৃষকদের সমৃদ্ধ, ক্ষমতায়িত এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে প্রতিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে। আগামী সিদ্ধান্তগুলিও শুধুমাত্র কৃষকদের স্বার্থেই নেওয়া হবে। মোদি সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছে, যে কোনও আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত।”