সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমনিতে হাসিখুশি থাকেন। তবে বাস্তব জীবনে কঠিন লড়াই লড়েছেন। প্রত্যেক ঘাত-প্রতিঘাত সামলে আজ তিনি অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। কখনও লক্ষ্মী-কোজাগরী হয়ে ছোটপর্দার দর্শকদের মন জয় নেন, আবার কখনও 'এটা আমাদের গল্প' দিয়ে সিনেমা হল ভরিয়ে দেন। এত বছরের জীবনে নানা অভিজ্ঞতা, নানা অনুভূতি, আর তা থেকেই হওয়া কিছু উপলব্ধিকে শব্দের আকার দিলেন অভিনেত্রী। সোশাল মিডিয়ায় পোস্টে জানালেন মনের কথা।
অতীতের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন অপরাজিতা। ছবির ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, "আমি বিশ্বাস করি যারা প্রবল ভাবে ঠকে, তারা কোনওদিন কাউকে ঠকাতে পারে না। বড়জোর বিশ্বাস করা ছেড়ে দেয়... আমি বিশ্বাস করি যারা ধ্বংস হয়, তারা কোনওদিন কাউকে নিঃস্ব করতে পারে না। বড়জোর হারিয়ে দিতে শিখে যায়, জীবন শিখিয়ে দেয় কিন্তু ধ্বংস করতে পারে না... আমি বিশ্বাস করি যারা চরম ভাবে অপেক্ষা করতে জানে, তারা কখনও কাউকে উপেক্ষা করতে পারে না। বড়জোর তারা সবকিছু সম্পর্কে উদাসীন হতে শিখে যায়, তাদের উপর আর কোনও কিছুই কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না।"
[আরও পড়ুন: পুজোর বক্স অফিস কাঁপাতে আসছে SI সুমন্ত, ‘বহুরূপী’র মোশন পোস্টারে দুরন্ত আবির]
অভিনেত্রীর বক্তব্য, "যাদের কথা বলার কেউ থাকে না, তারাই অন্যের কথা মন দিয়ে শোনে...সম্পর্ক যাদের ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে গেছে, তারা কোনওদিন কোনও সম্পর্ক ভাঙতে পারে না। বরঞ্চ কোনও সম্পর্কে তারা আর জড়ায় না...যারা ভীষণভাবে নিজের ভালোবাসার মানুষের কাছে অবহেলা পায়, তারা অন্য কাউকে অবহেলা করেনা কখনও। বরং বলা ভালো, খুব সুন্দর ভাবে সবকিছু এড়িয়ে যেতে শিখে যায় তারা...যাদের নিজস্ব গন্ধ কমে এসেছে, তারাই প্রতিটা মানুষের বুকের খুব কাছাকাছি গন্ধটাকে চিনতে পারে...ব্যথা গিলতে গিলতে যাদের গোটা শরীরটা অবশ হয়ে এসেছে, তারাই একমাত্র অন্যের ব্যথা খুব ভালোভাবে অনুভব করতে পারে...।"
এমনিতে হাসি অপরাজিতার অস্তিত্বের স্বাক্ষর। সারাক্ষণ ফুরফুরে মেজাজে থাকেন। কিন্তু আচমকা কেন এই বিষন্নতায় ভরা পোস্ট? তা জানা যায়নি। তবে প্রত্যেক শব্দে রয়েছে বাস্তবের অভিজ্ঞতা। অভিনেত্রীর মন ভালো থাকুক। এই কামনাই করছেন অনুরাগীরা। এদিকে অনুরাগীদের রথযাত্রার শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন অপরাজিতা।