সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’(পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪) বিল নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ওই বিলের সঙ্গে 'টেকনিক্যাল রিপোর্ট' পাঠানো হয়নি বলেই দাবি রাজভবনের। সে কারণেই সম্ভবত বিলে সই করবেন না বলেই ইঙ্গিত রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের।
কিন্তু কী এই 'টেকনিক্যাল রিপোর্ট'? রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তবে তা আইনে পরিণত হয়। তাই রাজ্যের যে কোনও বিল নিয়ে প্রশ্ন করতেই পারেন রাজ্যপাল। সে কারণেই বিলের সঙ্গে 'টেকনিক্যাল রিপোর্ট' পাঠাতে হয় রাজ্যকে। অর্থাৎ বিলটি কেন আনা হয়েছে, কীভাবে আনা হয়েছে, বিল(Aparajita Bill 2024) কার্যকর করতে রাজ্যের তহবিল থেকে কতটা খরচ হবে, কেন্দ্রীয় আইনব্যবস্থার সঙ্গে আদৌ ওই বিলের কোনও সাযুজ্য রয়েছে কিনা, তা ওই 'টেকনিক্যাল রিপোর্টে' বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হয়। আর সেই বিস্তারিত তথ্য রাজ্যের তরফে রাজ্যপাল বোসকে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ সন্দীপ ঘোষের আর্জি, ফের ধাক্কা আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের]
রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিলের সঙ্গে তার টেকনিক্যাল রিপোর্ট পাঠানোটা রাজ্য সরকারের কর্তব্য। রাজ্য সরকার সেটা পাঠায়নি। এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার টেকনিক্যাল রিপোর্ট না পাঠিয়েও বিল আটকে রাখার জন্য রাজভবনকে দুষেছে রাজ্য সরকার।” ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাজ্যপাল এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এবং জানিয়েছেন, বিল পেশের আগে আরও হোমওয়ার্ক করা উচিত রাজ্যের।” তৃণমূলের মহিলা মোর্চার তরফেও জানানো হয়, রাজ্যপাল বিলে ছাড়পত্র না দিলে রাজভবনের সামনে ধরনা দেবেন মহিলা কর্মীরা। তবে সেসব চাপে মাথা নোয়াতে নারাজ সি ভি আনন্দ বোস।