অভিরূপ দাস: কোভিড (COVID-19) পজিটিভ হয়ে হাসপাতালে ভরতি। লালারসের নমুনা পাঠাতে হবে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য। বিধাননগর, রাজারহাট নিউটাউন এলাকার জন্য এমনই নিয়ম জারি করল পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর। নিয়ম বলবৎ হয়েছে কলকাতা পুরসভা (KMC) এলাকার জন্যেও। RT-PCR টেস্ট করলে করোনা (Coronavirus) ধরা পড়ে। কিন্তু রোগীর ওমিক্রন (Omicron) হয়েছে কিনা, তা জানতে গেলে করতেই হবে জিনোম সিকোয়েন্স। বেলেঘাটা আইডি ছাড়াও আরও ন’টি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হতে পারবেন ওমিক্রন সন্দেহভাজনরা। করাতে পারবেন চিকিৎসা।
ইতিমধ্যেই শহরে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ। বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে রাজি নয় পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর। সোমবার বেসরকারি ল্যাবরেটরি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে ওমিক্রন নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। বৈঠকে হাজির ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্যতম সচিব সঞ্জয় বনশল ও স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।
[আরও পড়ুন: Omicron: ওমিক্রন রুখতে ফের জারি হতে পারে কড়া বিধিনিষেধ? জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী]
ঠিক হয়েছে, ওমিক্রন চিকিৎসায় আইডি হাসপাতালকেই ‘নোডাল’ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাখা হবে। একই সঙ্গে ঠিক হয়েছে, ন’টি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হতে পারবেন ওমিক্রন সন্দেহভাজনরা। এই ন’টি হাসপাতাল হল, আমরি ঢাকুরিয়া, মুকুন্দপুর ও সল্টলেক শাখা, অ্যাপোলো, বেলভিউ, উডল্যান্ডস, সিএমআরআই, চার্নক ও ফর্টিস।
এদিনের বৈঠকে সব হাসপাতালকেই সাধারণ কোভিড পজিটিভ, ওমিক্রন সন্দেহভাজন ও ওমিক্রন পজিটিভদের জন্য পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড রাখতে বলা হয়েছে। উডল্যান্ড মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সিইও ডা. রূপালী বসু জানান, স্বাস্থ্যভবনের বক্তব্যের সঙ্গে আমরা সহমত। ওমিক্রন সন্দেহভাজন রোগীকে ১৪ দিন কাটলেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দু’টি RT-PCR রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তবেই ওমিক্রন নেগেটিভ ধরা হবে। ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তিকে ওমিক্রন নেগেটিভ হওয়ার পরেও পরের ৭ দিন বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে হবে।