রাহুল রায়: দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সম্পত্তি, সরকারি অনুদান, এমনকী শাড়ি-গয়নার হিসেবে গরমিলের অভিযোগ। এনিয়ে এবার কেন্দ্রীয় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED) তদন্তের আরজি জানিয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। সেবায়েত ও ভক্তদের একটি অংশের তরফে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা হয় হাই কোর্টে। সেই সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন রয়েছে আদালতে। এবার সম্পত্তির হিসাব নিয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হল। মামলাকারীরা চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বুথ কমিটি নিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট! ক্ষুব্ধ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্য়বেক্ষক সুনীল বনশল]
মামলাকারীদের তরফে অভিযোগ, গত কালীপুজোয় দক্ষিণেশ্বরে দেবী ভবতারিণীর উদ্দেশে কয়েক হাজার শাড়ি ও বিপুল গয়না দিয়েছিলেন ভক্তরা। তার নাকি কোনও হিসেব নেই। এটার হিসেব চাওয়া হয়েছে মামলায়। একই সঙ্গে, বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ। রাজ্য সরকার গত কয়েক বছরে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন খাতে উন্নতির জন্য ১৩০ কোটি টাকা দিয়েছিল। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ২০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। এই টাকারও নাকি হিসেব নেই বলে পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, মন্দিরের ক্ষমতা সেবায়েতদের একটা অংশ নিজের কব্জায় রেখেছে বলে আদালতে জানিয়েছেন মামলাকারী সেবায়েতরা। তাঁদের বক্তব্য, আদালতের রায়ে প্রায় বিশ বছর বাদে হওয়া ট্রাস্ট নির্বচনেও অনিয়ম হয়েছে। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে, মূল মন্দির চত্বরে নির্মিত গেস্ট হাউসের নিচে দোকান বণ্টন পদ্ধতি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগও। মামলাকারীদের আরজি, কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি ইডিকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক। অথবা অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি গড়ে দিক হাই কোর্ট। তাঁরাই এই অনিয়মের তদন্ত করবে।