নব্যেন্দু হাজরা: ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষা দিতে আর আরটিও (RTO) অফিসে যেতে হবে না। এবার বাড়ি বসেই অনলাইনেই দিতে পারবেন পরীক্ষা। তেমনই পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে পরিবহণ দপ্তরের তরফে। তবে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে আবেদনকারীকে একদিন আরটিও অফিসে গিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেখাতে হবে। তাতে পাশ করলেই মিলবে লাইসেন্স।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, জাতীয় সড়ক-পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে পরিবহণ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজই অনলাইনে করার কথা বলেছে। ধীরে ধীরে সেদিকেই এগোচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তরও। তৈরি করা হচ্ছে পরিকাঠামো। ইতিমধ্যেই ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষায় গাড়ি চালানো সংক্রান্ত নতুন একটি ভিডিও দেখানো হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। দিন চারেক ধরে তা চালু হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ১২ মিনিটের এই ভিডিওটি দেখে তারপর পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। পরীক্ষাটি হয় পাঁচ মিনিটের। এই ভিডিওটি চাইলেও স্কিপ করতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। তাতে গাড়ি চালানোর যাবতীয় নিয়মাবলি দেখানো হচ্ছে। সিগন্যাল মানা থেকে শুরু করে গাড়ির গতির নিয়ন্ত্রণ যাবতীয় বিষয়ই এই ভিডিওতে দেখিয়ে গাড়ির চালানোর প্রাথমিক পাঠ দিয়ে দিচ্ছে সরকার।
[আরও পড়ুন: পার্থ-পরেশ-অনুব্রতর সম্পত্তি কত? খতিয়ান চেয়ে আয়কর দপ্তরকে চিঠি পাঠাল সিবিআই]
এখন অবশ্য লাইসেন্সের আবেদনকারীকে আরটিও অফিসে এসেই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। পরীক্ষা হয় পাঁচ মিনিটের। তবে ১২ মিনিটের ভিডিও দেখতে গিয়ে একেকজন পরীক্ষার্থীর অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে ভিড় হয়ে যাচ্ছে আরটিও অফিসে। তাই আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব লাইসেন্সের জন্য লিখিত পরীক্ষাটা বাড়ি বসেই যাতে আবেদনকারী দিতে পারেন সেই চেষ্টাই হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট পরিকাঠামো না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতি চালু করা সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা। তাঁদের কথায়, গাড়ির ট্যাক্স, পারমিট ফি সবই এখন অনলাইনে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবার লাইসেন্সের পরীক্ষাটাও হয়ে যাবে।
প্রথমে আবেদনকারীকে অনলাইনে লার্নার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে। সেখান থেকে করতে হবে স্লট বুক। তারপরই নির্দিষ্ট দিন, সময় দিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতোই হবে পরীক্ষা। দেওয়া যাবে বাড়ি বা সাইবার ক্যাফেতে বসে। সেই পরীক্ষায় পাস করলে আরেকদিন ডাকা হবে ওই আবেদনকারীকে। তাঁকে ওইদিন দিতে হবে প্র্যাকটিক্যল গাড়ি চালানোর পরীক্ষা। কিন্তু বাড়িতে থেকে তো একজনের পরীক্ষা অন্যজন দিয়ে দিতে পারে। সেই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে দফতরের কর্তাদের। তঁাদের কথায়, নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে অবশ্যই একটা গাইডলাইন তৈরি হয়ে যাবে।