গোবিন্দ রায়: লোকসভা নির্বাচনের আগে পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ জেলবন্দি তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
গ্রেপ্তারের পর, আরও দুটো মামলায় যুক্ত করা হয় ভাঙড়ের 'তাজা নেতা' আরাবুলকে। এর পরই কলকাতা পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার নামে মোট কটা কেস রয়েছে? উত্তর না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন আরাবুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ অতিসক্রিয় হয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এই মর্মেই মামলা দায়ের করার আবেদন করেন তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্ত্রী বিধায়ক বলে স্বামী কি চাকরি করবে না? লাভলির বরের বদলি নিয়ে ফুঁসে উঠলেন মমতা]
২০২৩ সালের পঞ্চায়েতে নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) সময় আইএসএফকে মনোনয়ন দিতে বাধাদানের অভিযোগ উঠেছিল ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সেখানে এক আইএসএফ (ISF) কর্মী খুন হন। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique) স্থানীয় থানায় আরাবুলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া বিজয়গঞ্জ বাজারে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। সেসবের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অশান্তি, অস্ত্র রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এখনও জেলবন্দি তিনি।