সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের (Qatar World Cup) প্রথম ম্যাচেই সৌদি আরবের কাছে হার। মেসিদের নিয়ে গেল গেল রব উঠেছে আর্জেন্টিনার (Argentina) সমর্থকদের মধ্যেই। বিশ্বকাপ জেতা দূর, টুর্নামেন্টে দলের ভবিষ্যৎ নিয়েই কপালে চিন্তার ভাঁজ নীল-সাদার সমর্থকদের। তবে এই প্রথম নয়, আগেও হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। মারাদোনা থেকে মেসি (Lionel Messi)-বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারের রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তিরা।
১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হেরেই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল লা আলবিসলেস্তেরা। ৩-২ ফলে সুইৎজারল্যান্ডের কাছে হারে তারা। এই টুর্নামেন্ট নক আউট পর্ব থেকেই শুরু হওয়ার কারণে প্রথম ম্যাচ থেকেই বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ১৯৫৮ সালে। তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে তিন গোল খেয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে আর্জেন্টিনা।
[আরও পড়ুন: মেসির আটকে যাওয়া নাকি রক্ষণের দুর্বলতা, কেন হারল আর্জেন্টিনা? রইল ৫ কারণ]
১৯৭৪ সালে পোল্যান্ড ও ১৯৮২ সালে বেলজিয়ামের কাছে ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শুরু করতে হয়েছিল মারাদোনার দেশকে। তবে ১৯৮৬ সালে প্রথম ম্যাচের পর হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছিলেন মারাদোনারা। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ হাতে নিয়েই ফিরতে পেরেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরের বিশ্বকাপে ফের স্বপ্নভঙ্গ। ১৯৯০ সালে ক্যামেরুনের কাছে একটিমাত্র গোল খেয়ে হেরে যান ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা । ফাইনালে উঠলেও সেবার বিশ্বকাপ জেতা হয়নি মারাদোনাদের।
তবে সেটাই শেষবার। ১৯৯০ সালের পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আর হারতে হয়নি তাদের। কিন্তু ২০২২ সালের বিশ্বকাপে সৌদি আরবের কাছে আটকে গেলেন মেসিরা। বিশ্বরেকর্ডও হাতছাড়া হয়ে গেল তাঁদের। টানা ৩৬টি ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। আর একটি ম্যাচ জিতলেই ইটালির টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতেন মেসিরা। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। তবে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে একটি পরিসংখ্যান। ২০১০ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারের পরেও চ্যাম্পিয়নের ট্রফি উঠেছিল স্পেনের হাতে। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এহেন ঘটনা মাত্র একবারই ঘটেছে। মেসির শেষ বিশ্বকাপে সেই মিরাকল আবার ঘটুক, সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন ভক্তরা।