আর্জেন্টিনা: ১ (মেসি-পেনাল্টি)
সৌদি আরব: ২ (সালেহ, সালেম)
দুলাল দে, দোহা: ৫১ বনাম তিন নম্বরের লড়াই। মেসি-ডি মারিয়া বনাম তুলনামূলক অনামী তারকাদের লড়াই। এককথায় এ যেন ডেভিড বনাম গোলিয়াথের অতি অসম লড়াই। কিন্তু ৯০ মিনিটে যে যেকোনও অঘটনই সম্ভব, সেটাই প্রমাণ করে দিল সৌদি আরব। লাতিন আমেরিকার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে হারিয়ে রেনার্ডের ছেলেরা গোটা দুনিয়াকে যেন বার্তা দিলেন, বিশ্ব মঞ্চে কোনও দলকেই খাটো করে দেখলে চলে না।
মেসির শেষ বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) রূপকথার কাহিনি রচনা করবে আর্জেন্টিনা। সে অপেক্ষাতেই এদিন একবুক আশা নিয়ে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই যে এমন অঘটন ঘটবে, তা হয়তো আর্জেন্টিনা দলের অতি বড় শত্রুও কল্পনা করেননি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে গত ৬ দশকে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর কখনও ম্যাচ হারেনি লা আলবেসেলেস্তা। কিন্তু এদিন পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পরও জয় উপহার দিতে ব্যর্থই হলেন মেসি।
[আরও পড়ুন: জাতীয় সংগীত না গেয়ে ‘নাটক’, দলকে বিঁধলেন মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলা ইরানি ফুটবলার]
এ যেন সত্যিই এক অন্য বিশ্বকাপ। যেখানে শীতকালে গ্যালারি ভরাচ্ছেন দর্শকরা। মাঠ ও মাঠের বাইরে একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছে আয়োজকরা। আর সেখানেই সকলকে চমকে দিয়ে প্রথম ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে মুথ থুবড়ে পড়লেন মেসিরা।
এদিন শুরুতে বল পজেশনে অনেকটাই এগিয়ে ছিল স্কালোনির দল (Argentina)। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়েও দেন মেসি। কিন্তু অফসাইডের গেরোয় আটকে যায় স্কোরবোর্ড। প্রথমার্ধের তিন-তিনটে গোল বাতিল করেন রেফারি। আর দ্বিতীয়ার্ধে যাবতীয় লাইমলাইট নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন সৌদির ছেলেরা। প্রথমে সালেহ, তারপর সালেম। অনবদ্য দুই গোলে লুসেইল স্টেডিয়ামে রচিত হল নয়া ইতিহাস। মরুঝড়ে নিশ্চুপ মহাতারকা মেসি। তবে সৌদির গোলকিপারের কথা উল্লেখ না করলেই নয়। তিনি যেভাবে তেকাঠির নিচে দাঁড়িয়ে একাধিকবার দলকে অক্সিজেন জোগালেন, তাতেই লড়াইয়ের রশদ পেল দল।
এই হারের হতাশা কাটিয়ে মেক্সিকো ও পোল্যাল্ডের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোই এখন মেসিদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।