সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইদানীং ফুটবল মাঠে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হলেও আর সেভাবে উত্তেজনার পারদ চড়ে না।
বরং আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচ সবার আকর্ষণেরই কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। গত দেড় বছর ধরে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের সম্পর্ক নিয়ে কম লেখালেখি হয়নি। সম্প্রতি কোপা আমেরিকা জয়ের পরে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা ফ্রান্সকে নিয়ে বর্ণবিদ্বেষমূলক খোঁচা দিয়েছিল। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল ফুটবলমহল। সেই আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স অলিম্পিক ফুটবলের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।
২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দেশ। সেই ফাইনাল এখনও জীবন্ত ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে।
[আরও পড়ুন: বল হাতে গেমচেঞ্জার রিঙ্কু, ডাগ আউটে বসে স্বস্তির হাসি গম্ভীরের]
নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফ্রান্স গ্রুপ এ-র শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে ইউক্রেনকে হারিয়ে বি গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের ছাড়পত্র জোগাড় করেছে। সাম্প্রতিককালে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফরাসি ফুটবলাররা আর্জেন্টিনাকে সবক শেখাতে তৈরি। মাতেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''সাম্প্রতিককালে যা ঘটেছে, তাতে ফ্রান্সের সবাই আঘাত পেয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে কী হয়, সেটাই দেখতে চাই আমরা।''
বিশ্বফুটবলে আর্জেন্টিনার সময়টা এখন বেশ ভালো যাচ্ছে। বিশ্বজয়ের পরে কোপা আমেরিকাও জিতেছে। সেই কারণে মাতেতা বলছেন, ''আর্জেন্টিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। ওরা সব টুর্নামেন্টেরই ফাইনালে ওঠে।'' ২০০৮ সালে শেষ বার অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার কী হবে? আর্জেন্টাইন মিডিয়াকে আলভারেজ বলেছেন, ''আমরা হার দিয়ে শুরু করেছিলাম। তারপরে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। ঘরের মাঠে খেলছে ফ্রান্স। অ্যাডভান্টেজ ওদের। তবে ফাইনালে পৌঁছতে হলে যাদের সঙ্গে খেলতে হবে, তাদেরই হারাতে হবে।''
[আরও পড়ুন: ডুরান্ডে সেরা টিম নামানোর প্রতিশ্রুতি মলিনার, গোল করে দর্শকদের রিটার্ন গিফট দিতে চান জেমি]