সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। রূপ বদলে আরও ভয়ানক হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মারণ ভাইরাস। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার ভারতীয় সেনার সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহামারী রুখে সেখানে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
[আরও পড়ুন: বিনামূল্যে টিকার ঘোষণা কেজরিওয়ালেরও, মঙ্গলবার থেকে কারফিউ জারি কর্ণাটকে]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, করোনা মোকাবিলায় ফৌজের তিন বাহিনীকেই স্থানীয় প্রশাসনের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকের পর চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেনার অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে গত দু’বছরের মধ্যে যাঁরা অবসর নিয়েছেন কেবলমাত্র তাঁদেরই ডেকে পাঠানো হবে। এছাড়া, প্রয়োজনে সেনার ভাণ্ডার থেকে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগান দেওয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসনের পাশে থাকবেন সেনার মেডিক্যাল অফিসার ও ইউনিটগুলি। অক্সিজেন পরিবহণে আরও দ্রুত কাজ করবে বায়ুসেনা। কোভিড হাসপাতালগুলিতে আর্মি, নেভি ও এয়ারফোর্সের চিকিৎসকরা একসঙ্গে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভারচুয়ালি সেনার তিন বাহিনীর প্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন রাজনাথ। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (DRDO) চেয়ারম্যান ও আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজের ডিজি। এদিনের আলোচনায় করোনা রুখতে প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রস্তুতির দিকটি খতিয়ে দেখেন রাজনাথ সিং। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসনকে মদত দিতে সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন তিনি। সেখানেই সেনার ৯৭টি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেনাবাহিনীতে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া ও জরুরি ওষুধ মজুত করা ও তা বিতরণ নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। সব মিলিয়ে এবার দেশে করোনা রুখতে সেনাবাহিনীকে আসরে নামিয়েছে কেন্দ্র সরকার।