সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ানে পিছু হটলেও চিনকে বিশ্বাস নেই। লাদাখে লোলুপ দৃষ্টি রেখে দিয়েছে ড্রাগন। ১৯৬২ সালের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চায় না নয়াদিল্লি। এবার ধ্বংসাত্মক অ্যাপাচে চপারের পাশাপাশি লাদাখে নজরদারি চালাবে ‘ভারত’। ভারতীয় সেনার হাতে এই বিশেষ ড্রোন তুলে দিয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। দেশের অতন্দ্র প্রহরী এই ড্রোনের নামও রাখা হয়েছে ‘ভারত’।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ড্রোন উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে নজরদারি চালাতে বিশেষ ভাবে তৈরি। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর নজরদারি চালাবে এই ড্রোন। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ড্রোন বিশ্বের সবথেকে হালকা ও সহজে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারে এমন ড্রোনের শ্রেণিতে পড়ে। উঁচু পাহাড়ি এলাকায় অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে নজরদারি চালাতে সক্ষম এই ‘ভারত’। লাদাখের ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী, এমনই একটি নজরদারি ড্রোনের প্রয়োজন ছিল ভারতীয় সেনার।
[আরও পড়ুন: জমি বিবাদের জের, ভারতীয় জওয়ানের বাবাকে খুন, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বেধড়ক মার দুষ্কৃতীদের]
‘ভারত’ সিরিজের ড্রোনগুলি চণ্ডীগড়ের একটি গবেষণাগারে তৈরি করেছে DRDO। প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, , ‘ছোট কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী এই ড্রোন স্বয়ংক্রিয় ভাবে যে কোনও স্থানে নিখুঁত ভাবে কাজ করতে সক্ষম। এর বায়োমেট্রিক ডিজাইন এবং অ্যাডভান্স রিলিজ টেকনোলজি নজরদারি চালানোর কাজে আদর্শ।’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) সৌজন্যে বন্ধু এবং শত্রুর মধ্যে তফাত করতে সক্ষম এই ড্রোন। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও কাজ করতে সক্ষম যা লাদাখের মতো অঞ্চলের জন্য আদর্শ। নজরদারি চালানোর সময় রিয়েল টাইম ভিডিও পাঠিয়ে দেবে ‘ভারত’। রাতের অন্ধকারেও ছবি তুলতে পারে এই ড্রোন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ‘ভারত’ এমন প্রযুক্তিতে তৈরি যে কোনও রাডারে ধরা পড়বে না।
[আরও পড়ুন: নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপ, ৫৯টি চিনা অ্যাপ কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের]
The post লুকানোর জায়গা পাবে না লালফৌজ, এবার সীমান্ত পাহারায় মোতায়েন ‘ভারত’ appeared first on Sangbad Pratidin.