স্টাফ রিপোর্টার: মশার কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ছেলের। ক্ষতিপূরণ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন মৃতের মা। এমন ঘটনায় হতবাক হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
বছর দুয়েক আগের কথা।
দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা চিত্রা মুখোপাধ্যায়ের ছেলে চয়ন একজন সেনাকর্মী ছিলেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কিডনির সমস্যা ও হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে ভরতি হন। পরিবারের তরফে খবর, সেই সময় তাঁর দু’টি কিডনি প্রায় নষ্ট অবস্থায় পোঁছেছিল। হাসপাতালে ভরতির আটদিনের মধ্যে চয়ন মারা যান। ব্যক্তিগত বিমা থেকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুবাবদ বিমা সংস্থার কাছে অর্থ দাবি করেন চিত্রাদেবী। বিমা সংস্থা তা দিতে অস্বীকার করায় বৃদ্ধা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
[আরও পড়ুন: ‘ডবল ইঞ্জিন গুরুত্বপূর্ণ নয়…’, কর্ণাটকের ফলের পর বিজেপিকে বিঁধলেন নবীন পট্টনায়েকও]
আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী রাহুল কর্মকার, জীবন্তরাজ দাস রায়ের দাবি, হাসপাতালে ভরতির এক সপ্তাহের মধ্যে চয়নের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ডেঙ্গুর কারণেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, যাতে তিনি মারা যান। ডেথ সার্টিফিকেটেও মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গু ও কিডনি সমস্যার উল্লেখ রয়েছে। ‘‘তাহলে ক্ষতিপূরণ মিলবে না কেন?’’– প্রশ্ন বাদীপক্ষের।
হাই কোর্ট অবশ্য ওঁদের যুক্তি মানেনি। মামলা খারিজ করে আদালত জানিয়েছে, হাসপাতালে মশার কামড়ে মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলা যেতে পারে না। তাই দুর্ঘটনাজনিত বিমার টাকা দাবি করা যায় না বলে জানিয়ে দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
[আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা, বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাতের সম্ভাবনা]
২০২২-এর সেপ্টেম্বরে বিমা সংস্থা চিত্রাদেবীর দাবি খারিজ করেছিল। আদালতে বিমা সংস্থার যুক্তি ছিল, ওঁর ছেলের মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত কারণে হয়নি। তাই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন নেই।
হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিমা সংস্থার বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন মৃতের মা।