সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উভয় সংকটে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। কর্মক্ষেত্রে গেলে খুন হতে হবে জেহাদিদের হাতে। আর না গেলে মরতে হবে অনাহারে! কাশ্মীরি পণ্ডিতদের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। বাধ্য হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ শুরু করছেন উপত্যকার কাশ্মীরি পণ্ডিতরা (Kashmir Pandit)। তাতে আবার তাঁদের সঙ্গ দিচ্ছেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং।
ব্যাপারটা আরেকটু পরিষ্কার করে বলা যাক। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর বড় মুখ করে কাশ্মীরে পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী পুনর্বাসন যোজনার আওতায় কয়েক হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতকে উপত্যকায় সরকারি চাকরি দিয়ে ফেরানোও হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সরকারের প্রতিশ্রুতি মেনে কাশ্মীরে (Kashmir) গিয়েই ফেঁসে গিয়েছেন পণ্ডিতরা। কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর গত কয়েক বছরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘টার্গেট কিলিং’ বাড়ছে। যে কোনও দিন খুন করতে পারে জেহাদিরা। লাগাতার দেওয়া হচ্ছে হুমকি। অথচ, নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে কোনও পদক্ষেপই করছে না প্রশাসন। ফলে আরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উপত্যকার সংখ্যালঘুরা।
[আরও পড়ুন: যমজ সন্তান কোলে দেশে ফিরলেন ইশা, নাতি-নাতনির কল্যাণে ৩০০ কেজি সোনা দান আম্বানির!]
এই পরিস্থিতিতে উপত্যকার কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বয়কট করেছেন। গত সাত মাস কাশ্মীরের ৬ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত প্রাণহানির আশঙ্কায় নিজেদের কর্মক্ষেত্রে যেতেই পারছেন না। কিন্তু কাশ্মীর প্রশাসন পণ্ডিতদের এই পরিস্থিতি বুঝতে নারাজ। কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা (Manoj Sinha) আবার এরই মধ্যে ফরমান জারি করেছেন, যে কাজে না গেলে পণ্ডিতদের বেতন দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: এখনই আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধ নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা, বিমানবন্দরে RT-PCR টেস্টের নির্দেশ কেন্দ্রের]
উপরাজ্যপালের এই ফরমানে বেজায় ক্ষুব্ধ কাশ্মীরি পণ্ডিত সমাজ। জম্মুতে ৬ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত একযোগে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, সরকার হয় তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক, নাহয় তাঁদের জম্মুতে ফিরিয়ে আনা হোক। পণ্ডিতদের এই বিক্ষোভকে সমর্থন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংও। তিনি বলছেন, কারও প্রাণ বাঁচাতে যদি এক ডজন অফিস বন্ধ করতে হয়, সেটা করে দেওয়া উচিত। কারণ প্রাণ বাঁচানোটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।