সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল। এবার উত্তরপ্রদেশের লাইনচ্যুত হল মালগাড়ি। দুর্ঘটনার জেরে উলটে গিয়েছে ট্রেনের ৭টি কামরা। মালগাড়ি হওয়ার জেরে এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও বিস্তর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত বলে জানা যাচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন সন্ধ্যে নাগাদ আমরোহায় গাজিয়াবাদ ও মোরাদাবাদ স্টেশনের মাঝে বেলাইন হয়ে যায় মালগাড়িটি। ট্রেনের ৭টি কামরা উলটে যায়। মালবাহী গাড়ি উলটে যাওয়ায় একাধিক ভারী কন্টেনার এদিক ওদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় দিল্লি থেকে লখনউগামী রেল চলাচল। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় রেলের আধিকারিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলিকে লাইন থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্থ কামরাগুলিকে সরানো ও লাইন মেরামতের পর ফের ওই জায়গা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে।
যদিও কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এটি যদি মালগাড়ি না হয়ে যদি যাত্রীবাহী ট্রেন হত তাহলে পরিস্থিতি কতটা মর্মান্তিক হত ভেবেই শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ। বার বার এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে। এদিকে রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই লাইনে দুর্ঘটনার জেরে ঘুরপথে ট্রেন চলাচল চালু করা হয়েছে। গাজিয়াবাদ মোরাদাবাদের পরিবর্তে ট্রেন চালানো হচ্ছে মোরাদাবাদ-সাহারানপুর-মেরুঠ গাজিয়াবাদ এই রুটে। ফলে এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির যাতায়াতে অনেকটাই বাড়তি সময় লাগছে।
[আরও পড়ুন: চলন্ত গাড়িতে ক্লাস নাইনের ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি!]
উল্লেখ্য, পর পর দুর্ঘটনায় এমনিতেই প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেলের যাত্রী নিরাপত্তা। গত ১৭ জুন উত্তরবঙ্গের চটেরহাট এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ওই দুর্ঘটনায় কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ড এবং মালগাড়ির চালক-সহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ৫০ জন। সেই রেশ কাটার আগে ফের গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গোন্ডায় ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। লাইনচ্যুত হয় চণ্ডীগড় থেকে ডিব্রুগড়গামী ট্রেনটির ১০ থেকে ১২টি কামরা। মৃত্যু হয় ২ জন যাত্রীর। বহু যাত্রী আহত হন। এর পরও ভারতীয় রেলযাত্রার বিভীষিকা কাটানোর কোনও উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।