সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি হেফাজতে রুটির বদলে ভাত খাওয়ার জেদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। প্রাক্তন মন্ত্রীকে বুঝিয়ে শুনিয়ে অল্প ভাতে সন্তুষ্ট করতে শেষে ‘ম্যাডাম’ অর্পিতার দ্বারস্থ ইডি আধিকারিকরা। অর্পিতার অভিভাবকসুলভ ‘ধমকে’ অবশেষে জেদ ভাঙল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
গ্রেপ্তারির পর থেকেই খাওয়া নিয়ে নানারকম বায়না করছিলেন পার্থ ও অর্পিতা (Arpita Mukherjee)। কখনও অর্পিতা ড্রাই ফ্রুট চেয়েছেন, কখনও আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় চেয়েছেন পছন্দের খাবার। কিন্তু প্রথম থেকেই নিজেদের পদ্ধতিতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, আপাতত AIIMS -এর নির্দেশ মতোই খাবার দেওয়া হচ্ছে পার্থ-অর্পিতাকে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রুটি খাবেন না বলে বেঁকে বসেন পার্থবাবু। কিন্তু তিনি দাবি করেন, ভাতই দিতে হবে। সুগার রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। টানা জেরায় মানসিক চাপে রক্তে শর্করা আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে ভাত খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সেই কারণে ইডি আধিকারিকরা ভাত দিতে চাননি তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ‘বলির পাঁঠা পার্থ’, প্রতিক্রিয়া সুকান্তর, ‘অপসারণ করেই দায় এড়ানো যায় না’, বলছে সিপিএম]
বিভিন্নভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বোঝানোর চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এরপরই ম্যাডাম অর্পিতার দ্বারস্থ হন ইডি আধিকারিকরা। তিনি কার্যত অভিভাবকের মতো পার্থবাবুকে বোঝান যে, ভাত তাঁর স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। বর্তমান পরিস্থিতিতে অসুস্থ হয়ে পড়লে লড়াই করতে পারবেন না, এভাবে বোঝানোর পর অর্পিতার কথা মেনে অল্পভাতে খুশি হন পার্থ।
এদিকে সিজার লিস্ট অনুযায়ী অর্পিতা ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করছে ইডি আধিকারিকরা। ফ্ল্যাট থেকে যা যা নথি মিলেছে, সেগুলি কার, কীসের সম্পত্তি, বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি আধিকারিকরা। শুক্রবার সকালে ফের শারীরিক পরীক্ষার জন্য জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অর্পিতা-পার্থকে।