shono
Advertisement

কঙ্গনার পদ্ম সম্মান ফেরানোর আরজি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে টুইট! উঠল গ্রেপ্তারির দাবিও

‘ভিক্ষের স্বাধীনতা’ মন্তব্যে ক্রমশ চাপ বাড়ছে কঙ্গনার উপরে।
Posted: 06:01 PM Nov 12, 2021Updated: 06:01 PM Nov 12, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কঙ্গনার (Kangana Ranaut) ‘ভিক্ষের স্বাধীনতা’ মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। জোরাল হচ্ছে গ্রেপ্তারির দাবি। সেই সঙ্গে তাঁর পদ্মশ্রীও (Padma Shri) ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলছে বিরোধীরা। বুধবার সন্ধ্যায় এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেন কঙ্গনা রানাউত। তারপর থেকেই তাঁর এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অনেকেই। বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী থেকে এনসিপি নেতা নবাব মালিক, অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কংগ্রেস থেকে আম আদমি পার্টি কিংবা শিব সেনার মতো দলও গর্জে উঠেছে প্রতিবাদে।

Advertisement

কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা টুইটারে লিখেছেন, ”অবিলম্বে কঙ্গনাকে দেওয়া পদ্ম সম্মান ফিরিয়ে নেওয়া হোক। এই ধরনের পুরস্কার দেওয়ার আগে মানসিক পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যতে এইভাবে কেউ দেশ ও দেশের নায়ককে অসম্মান করতে না পারে।” তাঁর টুইটারে তিনি ট্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে।

[আরও পড়ুন: ফের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, তপসিয়ার বাসস্ট্যান্ডের কাছে আগুন লাগায় ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য]

এদিকে আম আদমি পার্টির তরফে মুম্বই পুলিশের কাছে একটি মামলা দায়ের করার আবেদন করা হয়েছে কঙ্গনার বিরুদ্ধে। আপ নেত্রী প্রীতি শর্মা মেননের অভিযোগ, কঙ্গনা যা বলেছেন তা উস্কানিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী। এদিকে শিব সেনা নেত্রী নীলম গোরহের দাবি, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু হোক।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নতুন করে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেই সময়কালকেই ইঙ্গিত করে ওই কথা বলেছিলেন বরাবরই গেরুয়া শিবিরের প্রতি দুর্বল সদ্য পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হওয়া কঙ্গনা। দাবি করেছিলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পায়নি। ওটা ছিল ভিক্ষা। প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছিল ২০১৪ সালে।

[আরও পড়ুন: ‘ধিক্কার জানাচ্ছি’, কোচবিহারে BSF-এর গুলিতে ৩ গরু পাচারকারীর মৃত্যুতে ফুঁসে উঠলেন উদয়ন গুহ]

ওই বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও শেয়ার করে তাঁকে আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi)। লেখেন, ”কখনও মহাত্মা গান্ধীর ত্যাগ ও তপস্যাকে অপমান, কখনও ওঁর হত্যাকারীকে সম্মান। আর এবার শহিদ মঙ্গল পান্ডে থেকে শুরু করে রানি লক্ষ্মীবাঈ, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও আরও অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর বলিদানকে অবজ্ঞা। এটাকে পাগলামি বলব নাকি বিশ্বাসঘাতকতা?” এরপর তাঁকে আক্রমণ করেন এনসিপি নেতা নবাব মালিকও। নবাবের মন্তব্য, “সম্ভবত উনি (কঙ্গনা) আজকাল অতিরিক্ত মাদক নিচ্ছেন!” এবার উঠল কঙ্গনার গ্রেপ্তারির দাবিও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement