ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) রক্ষাকবচ বহাল হাই কোর্টে। ফলে এখনই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যাবে না। কিন্তু এফআইআর ছাড়াও গ্রেপ্তার করা সম্ভব। যেমনটা হয়েছিলেন তৃণমূলের বর্তমান রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সাংবাদিক বৈঠকে নিজের গ্রেপ্তারির তুলনা করে আসানসোল পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হলেন কুণাল ঘোষ। স্পষ্ট বললেন, ”কিন্তু কোথাও লেখা নেই গ্রেপ্তার করা যাবে না।”
বুধবার আসানসোলে (Asansol) শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনায় শুভেন্দুর গ্রেপ্তারির দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি নিজের গ্রেপ্তারির তুলনা টানলেন। তাঁর কথায়, ”বলা আছে, আগামী দিনে আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও FIR করা যাবে না। পুলিশের কাছে অনুরোধ রাখব, তদন্ত যা চলছে চলুক। দলের কোনও হস্তক্ষেপ নয়। কিন্তু ‘নট টু অ্যারেস্ট’ যদি বলে, তাতে তাঁকে গ্রেপ্তারের কোনও কথা লেখা নেই। পুলিশ মনে করলে আজ এখনই শুভেন্দুকে গ্রেপ্তার করতে পারে। ৩-৪ জন ধরা পড়ল হয়ত। জেরার সময় অভিযুক্তরা যদি আরও কারও নাম বলে তবে তার নামে এফআইআর না করেও গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ।”
[আরও পড়ুন: তাওয়াংয়ে চিনের রক্তচক্ষু, ‘ভয় নেই, অরুণাচল সুরক্ষিত’, বিজয় দিবসে অভয়বার্তা সেনার]
এ বিষয়ে আইনের নির্দিষ্ট ধারার কথা উল্লেখ করেন কুণাল ঘোষ। বলেন, ”আমার জীবন দিয়ে বলছি, সিআরপিসি (CRPC) দেখুন, আইপিসি (IPC) দেখুন। নাম নথিভুক্ত নাও থাকতে পারে। অন্য অভিযুক্ত হিসাবে আর কারও নাম জড়িত থাকলে তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে। ১৬১ বা ১৬৪ এর ধারায় গ্রেপ্তার করা যায়। আমি, কুণাল ঘোষ বলছি, আমায় এইভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আমার উদাহরণ দিয়ে বলছি আমার কলার ধরে তাকে গ্রেপ্তার করে আনুক। যে কোনও মামলায় তাকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা যেতে পরে, নাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। FIR-এ স্টে মানে নতুন করে এফআইআর করা যাবে না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী গ্রেপ্তারির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। ৩ জন আসানসোলে মারা গিয়েছে। সেই ঘটনায় শুভেন্দুকে গ্রেপ্তার করে আনুক।”
[আরও পড়ুন: হিন্দি-উর্দুভাষীকে জোর করে বাংলা বলানো যাবে না, জানাল পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশন]
হাই কোর্টে শুভেন্দুর রক্ষাকবচ বহাল থাকা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ”রাজ্য ধাক্কা খেল, এমনটা মনে করলে ভুল। গ্রেপ্তারির মুখে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু। যেখানে যা হওয়ার আইনজীবীরা বুঝবেন। এই আইনে অধিকার আছে শুভেন্দুকে ধরে আনা। পুলিশকে বলব, তাকে ধরে আনতে। আইনে বাধা নেই। জাস্টিস মান্থার অর্ডার অবমাননা করা হচ্ছে না।”