রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: সোনার দোকানে চুরির অভিযোগ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nishith Pramanik) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল আদালত। আলিপুরদুয়ারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থার্ড কোটের বিচারক ১১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহরে দুটো সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই দুই মামলায় নিশীথ প্রামাণিক অভিযুক্ত ছিলেন। তাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আলিপুরদুয়ার আদালতের সরকারি আইনজীবী জহর মজুমদার বলেন, “২০০৯ সালের দুটো মামলার বিচারের নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আলিপুরদুয়ারের জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট থার্ড কোর্টের বিচারক। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে নিশীথ প্রামানিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে হবে পুলিশকে। তা না হলে কেন গ্রেপ্তার করতে পারল না, তা জানাতে হবে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল নেত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে করা কটূক্তির জন্য ক্ষমা চাইতে পারবেন মোদি-শাহ-শুভেন্দু? চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক]
২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ার শহরের বাদলনগর এলাকায় জয়গুরু জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই বছর ২ মে আলিপুরদুয়ার থানায় ওই ঘটনার অভিযোগ জমা দেন সোনার দোকানের মালিক রতন ঘোষ। ওই মাসেই আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া বীরপাড়াতে পাল জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। ১৩ মে ওই চুরির ঘটনায়ও আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এই দুই সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক। প্রথম ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথের বিরুদ্ধে আই পি সি ৪৫৭,৩৮৫ ও ৪১১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু হয়। দ্বিতীয় চুরির ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬১, ৩৭৯ ও ৪১১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এই দুই মামলার বিচার বারাসাতের এমএলএ, এমপি আদালতে বিচারের জন্য গিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের অনুমতি ক্রমে এই দুই মামলা ফের আলিপুরদুয়ারের ট্রায়াল কোর্টে চলে আসে। আর ১১ নভেম্বর আলিপুরদুয়ারের আদালত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
আলিপুরদুয়ার আদালতে নিশীথ প্রামানিকের আইনজীবী দুলাল ঘোষ বলেন, “১১ নভেম্বর ফার্স্ট কোর্টে আমি বিকেল চারটা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু কোনও শুনানি হয় নি। পরে সাতটা নাগাদ থার্ড কোর্টের বিচারক এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে শুনেছি। আমার অজ্ঞাতে এই নির্দেশ হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে কী করব তা পরে জানাব।”