সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন কেলেঙ্কারি মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ। পলাতক রেভান্নার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল কর্নাটকের বিশেষ তদন্তকারী দল। সম্প্রতি কর্নাটকের জেডিএস সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিট। আদালত অনুমতি দিতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হল রেভান্নার বিরুদ্ধে। এদিকে নাতির কুকীর্তিতে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বলের একাধিক অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। অভিযোগ ওঠে, তাঁর বাড়ির পরিচারিকাদের টানা তিন বছর ধরে যৌন হেনস্তা করেছেন প্রজ্জ্বল (Prajwal Revanna)। তদন্ত শুরু হতেই দেশ ছেড়েও পালান তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। উদ্যোগ চলছে তাঁকে দেশে ফেরানোর। এদিকে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে সরগরম হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। কারণ, কর্নাটকে জেডিএসের সঙ্গে জোট করেছে বিজেপি। রেভান্নার সমর্থনে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। সেই কাজকে তোপ দেগে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ৪০০ মহিলার ধর্ষককে ভোটে জেতাতে প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাপে এনডিএ। যদিও ইতিমধ্যেই প্রজ্জ্বলকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে জেডিএস।
[আরও পড়ুন: ঠাটিয়ে চড় কানহাইয়া কুমারকে, প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত কংগ্রেস প্রার্থী]
এদিকে গোটা ঘটনায় নাতি প্রজ্জ্বল রেভান্না মাথা থেকে হাত তুলে নিয়েছেন জেডিএস সুপ্রিমো এইচ ডি দেবেগৌড়া (HD Deve Gowda)। শনিবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, 'দোষী সাব্যস্থ হলে অবশ্যই প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে।' পাশাপাশি তিনি বলেন, "ছেলে এইচ ডি কুমারস্বামী দল এবং পরিবারের তরফ থেকে প্রজ্জ্বল রেভান্না এবং এইচ ডি রেভান্না সম্পর্কে যা বলার বলে দিয়েছেন। আমার এই নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সরকার সবরকম আইনি উপায়ে প্রজ্জ্বলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। তবে এইচ ডি রেভান্নার বিরুদ্ধে টার্গেট করেই আক্রমণ করা হচ্ছে। এই মামলায় অনেকেই জড়িত আছে। সমস্ত নির্যাতিতা নারীর ন্যায়বিচারের আবেদন জানাই।"