সুব্রত বিশ্বাস: বাজপাখির বাচ্চা ভিনরাজ্যে পাচারের ছক! ৬টি বাচ্চা পাচারের সময়ই বর্ধমান (Bardhaman Station) স্টেশন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলেন আরপিএফের সিআইবির কর্মীরা। বাংলা থেকে বিহারে পাখির বাচ্চাগুলিকে পাচারের ছক ছিল বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া বাজপাখির বাচ্চাগুলিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাংলায় এই পাখি বিলুপ্তপ্রায়। ফলে এই পাখি পোষা বা বিক্রি করা নিষিদ্ধ। এই পাচার চক্রে আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে, জানার চেষ্টা করছে বনদপ্তর।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম শেখ সায়েদ। সে বর্ধমান (Bardhaman) হাটুদেওয়ানের বাসিন্দা। আরপিএফের বর্ধমান রেঞ্জের সিআইবি ইন্সপেক্টর রজত রঞ্জন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে একটি লোহার খাঁচা প্লাস্টিকে মুড়ে স্টেশনে আসে সে। সায়েদের চলাফেরায় সন্দেহ হয় পুলিশের। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অভিযুক্তর থেকে উদ্ধার হয় ৬টি বাজপাখির বাচ্চা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জেরায় শিকার করেছে, পাখির বাচ্চাগুলো জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে (Jammu Tawi Express) করে বিহারের গোমো স্টেশনে পাচারের ছক ছিল। আরপিএফ শেখ সায়েদের থেকে ওই এক্সপ্রেসের ট্রেনের টিকিটও পেয়েছে। ৫০০ টাকার বিনিময়ে ধৃত এই কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভোটকর্মীদের সুবিধায় শেষ দফার নির্বাচনে বিশেষ ট্রেন চলবে শিয়ালদহ শাখায়, জানুন খুঁটিনাটি]
বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে বাজপাখি। এই শিকারি পাখি মূলত আরব দেশগুলিতে পাচার হয়ে থাকে। মোটা দামের বিনিময়ে বিদেশে পাচার করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। শিকারের জন্য বিহারেও এই পাখির কদর রয়েছে। আমেরিকা ও এশিয়ার কিছু এলাকায় এই পাখি পাওয়া গেলেও ভারতে খুব বেশি সংখ্য়ায় নেই। সেই কারণেই বাজপাখি ধরা বা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বড় পাখির থেকে বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দিতে সুবিধা। তাই কালোবাজারে চাহিদা রয়েছে শাবকদের। উদ্ধার হওয়া পাখির বাচ্চাগুলি কোথা থেকে আনা হচ্ছিল, পাচারে কে বা কারা যুক্ত, আরও কোনও চক্র সক্রিয় কি না, তা সন্ধানে নেমেছে বনদপ্তর।