সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি দাঙ্গার নেপথ্যে রয়েছে ইসলামিক স্টেট! পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে এমনই বিস্ফোরক তথ্য। এমনকী কয়েকদিন আগে রাজধানী থেকে যে তিন আইএস জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাদেরই মদত ছিল দিল্লির বুকে হিংসা ছড়ানোয়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা আইএস জঙ্গিদের মধ্যে এই মুহূর্তে পুলিশের আতসকাঁচের তলায় রয়েছে ধৃত আরশাদ। একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজধানীর রাজপথ। আরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেসময় প্রতিবাদ চলাকালীন উসকানিমূলক স্লোগান দিয়েছিল সে। এমনকী দিল্লির শাহিনবাগে হওয়া বিক্ষোভের মাথাও ছিল আরশাদ। এছাড়াও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি শাহনওয়াজকে আশ্রয় দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুনে পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়েছিল শাহনওয়াজ।
[আরও পড়ুন: পঙ্গপালের মতো নেমে এলে ড্রোনের ঝাঁক, কী করবে ফৌজ?]
উল্লেখ্য, গত সোমবার দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) হাতে ধরা পড়ে আইএস (ISIS) জঙ্গি মহম্মদ শাহনওয়াজ। রাজধানীর জইতপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লখনউ ও মোরাদাবাদ থেকে পাকড়াও করা হয় মহম্মদ রিজওয়ান আশরফ ও মহম্মদ আরশাদ ওয়ারসিকে। ওইদিন দেশের ৬০টি জায়গায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে এনআইএ। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের অফিসার এইচজিএস ধালিওয়াল জানান, দেশজুড়ে একাধিক বিস্ফোরণ ও নাশকতায় জড়িত রয়েছে ধৃতরা। বোমা বানানোয় দক্ষ এরা। ধৃত এই জঙ্গিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা তাক লাগানোর মতো।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের বাসিন্দা শাহনওয়াজ মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার। তাই বিস্ফোরণ ঘটানোর সব সুলুকসন্ধান তার জানা। একই রাজ্যের বাসিন্দা মহম্মদ আরশাদ ওয়ারসি আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক ডিগ্রিধারী। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় গবেষণারত। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা মহম্মদ রিজওয়ান আশরফ কমপিউটার সায়েন্সে বি টেক। এদের নিয়ন্ত্রণ করা হত পাকিস্তান থেকে।