সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবারই জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও বৈঠকের পরও সংবিধানের ৩৭০ ধারা ফের কাশ্মীরে ফিরবে, এমন আশা কেউই প্রায় করছেন না। এই অবস্থায় নতুন পরামর্শ দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মুজাফফর হোসেন বাগ। তাঁর মতে, ৩৭০ ধারা না ফেরানো হলেও ৩৭১ ধারায় (Article 371) কাশ্মীরের নাম জুড়ে দেওয়া যেতে পারে। তাহলেই সমস্যার সমাধান হবে।
ঠিক কী আছে সংবিধানের ৩৭১ অনুচ্ছেদে? আসলে দেশের উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্য যথা অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম প্রভৃতিকে কয়েকটি বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে এই ধারায়। তবে এই ধারায় কাশ্মীরের কোনও উল্লেখ নেই। মুজাফফর হোসেন বাগ (Hussain Baig) আরজি জানিয়েছেন, এই অনুচ্ছেদেই ঢুকিয়ে দেওয়া হোক কাশ্মীরের নামও। তাহলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মতোই বিশেষ মর্যাদা পাবে কাশ্মীর। সেক্ষেত্রে আর ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
গত ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বন্দি করা হয় সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের।
[আরও পড়ুন: জম্মু বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তে NIA-NSG বম্ব স্কোয়াড, সতর্কতা জারি পাঠানকোট সেনা ঘাঁটিতে]
২০২০ সালে বিরোধীরা গুপকার জোট গঠন করে দাবি জানায়, কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ার পরে গত বৃহস্পতিবার গুপকার জোট-সহ বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বৈঠকের পরেও খুব আশাবাদী দেখায়নি মেহবুবা মুফতি কিংবা ওমর আবদুল্লার মতো নেতানেত্রীদের।
ওমর আবদুল্লার মতে, জম্মু ও কাশ্মীরকে ফের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া ও সেখানে সংবিধানের ৩৭০ ধারা চালু করার মতো দাবি জানানো নেহাতই অর্থহীন। বিজেপি সরকার যে তা কখনওই করবে না সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপির ৭০ বছর লেগেছে ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত নিজেদের রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা পূর্ণ করতে। আমাদের লড়াই সবে শুরু হয়েছে। আমরা মানুষকে এটা বলে বোকা বানাতে চাই না যে ৩৭০ ধারা ফেরানো নিয়ে আমরা কথা বলব। ওটা ফেরত পাওয়ার আশা করা বোকামো। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে তেমন কোনও ইঙ্গিত আমরা পাইনি।’’ এদিকে মেহবুবা মুফতি জানিয়েছেন, ৩৭০ ধারা না ফেরানো হলে তিনি নির্বাচনে লড়বেন না। এই অবস্থায় এবার নয়া পরামর্শ দিলেন মুজাফফর হোসেন বাগ।