সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবিধানের বিতর্কিত ৩৭০ ধারা রদ হওয়া নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের সমর্থন করে উত্তরপ্রদেশের বিক্রম সিং বলেন, ‘এবার কাশ্মীরের ফরসা-সুন্দরী মেয়েদের বিয়ে করা যাবে।’ এই মন্তব্যে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
[আরও পড়ুন: পরিবারের অমতে বিয়ে, ৪৪ বছর পর সুষমাকে হারিয়ে নিঃসঙ্গ স্বামী]
গত সোমবার, সংবিধানের ৩৭০ ধারায় সংশোধন এনে ও ৩৫এ ধারা বিলুপ্ত করে কেন্দ্র। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। প্রায় ৬৯ বছর পর মোদি সরকার-২.০ এই পদক্ষেপ নিয়ে উপত্যকার মানচিত্র পালটে দেয়। তারপরই দেশজুড়ে শুরু হয় উৎসব। কংগ্রেস প্রতিবাদ করলেও, দলীয় কোন্দলে তা নিয়ে কেউ বিশেষ মাথা ঘামায়নি। তবে উল্লাস করতে গিয়ে গোল বাঁধিয়েছেন মুজফফরনগরের খটৌলির বিধায়ক বিক্রম সিং সেনি। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় সমর্থকদের অতি উৎসাহী ওই বিধায়ক বলেন, ‘দলের কর্মীরা উৎফুল্ল, বিশেষ করে যাঁরা অবিবাহিত। এবার ফরসা কাশ্মীরি মেয়েদের সঙ্গে তাঁদের বিয়ে দেওয়া যাবে। আগে ভিনরাজ্যে বিয়ে করলে কাশ্মীরি মহিলারা নাগরিকত্ব খোয়াতেন। তাঁদের উপর অনেক অত্যাচার হত। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা না থাকে এবার সেসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কাশ্মীরি মহিলারা।’ তবে শাসকদল যাই দাবি করুক না কেন, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা খোয়ানোর পর কাশ্মীর উপত্যকা রাজনৈতিকভাবে যে একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না৷ তাই পালটা প্রতিরোধের আশঙ্কায় তাই আগেই প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে কেন্দ্র৷
এদিকে, এই ভাষণের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এহেন কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছেন বিধায়ক বিক্রম সিং। সমালোচনা হলেও, এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি উত্তরপ্রদেশ সরকার। সোমবার পুনর্জন্ম হয় কাশ্মীরের৷ দ্বিতীয়বার বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার ১০০ দিনের মধ্যেই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারার বিলুপ্তি ঘটায় মোদি সরকার৷ ওই রাজ্য ভেঙে গঠন হয় লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের৷
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরবাসীকে স্যালুট’, লোকসভায় পুনর্গঠন বিল পাশের পরই মুখ খুললেন মোদি]
The post ‘এবার বিয়ে করা যাবে ফরসা কাশ্মীরি যুবতীদের’, ৩৭০ রদে মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের appeared first on Sangbad Pratidin.