সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশ ভারতেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। চিন সেখানে যেভাবে আগ্রাসন দেখাচ্ছে তা নিন্দনীয়। এমনই প্রস্তাব উঠল মার্কিন (US) সেনেটে। তিনজন শক্তিশালী সেনেটর মার্কিন সেনেটে এই প্রস্তাব পেশ করেছেন। নিঃসন্দেহে এই প্রস্তাবে স্বস্তিতে ভারত। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে লালফৌজের সঙ্গে টক্কর চলছে ভারতীয় সেনার। বারবার চিনা আগ্রাসন নিয়ে কূটনৈতিক মহলে সরব হয়েছে ভারত। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন সেনেটের এই প্রস্তাব যে নয়াদিল্লিকে বাড়তি অক্সিজেন দিল তা বলাই বাহুল্য।
অরুণাচলের কিছু অংশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে ভারত ও বেজিংয়ের। গত ডিসেম্বরেই দুই দেশের সেনার হাতাহাতিও হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন সেনেট এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেনেটেররা পরিষ্কার জানিয়েছেন, অরুণাচল প্রদেশ ভারতে অবিচ্ছেদ্য অংশ। অরুণাচলে ভারতের ‘অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব’ বজায় রাখার প্রসঙ্গ তুলে চিনের কড়া নিন্দাও করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নিজের জামা ইস্ত্রি করতে গিয়ে বিপত্তি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের]
উল্লেখ্য, চিনা (China) আগ্রাসনের জবাব দিতে মরিয়া ভারত। এবার লালফৌজকে রুখতে নয়া সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi)। একটি নয়, তিন-তিনটি ‘মাস্টারস্ট্রোক’ নিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই পদক্ষেপগুলি বেজিংকে অস্বস্তিতে ফেলবে। কী এই তিন নতুন পদক্ষেপ? এক, ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে বর্ডার পুলিশের সংখ্যাবৃদ্ধি। দুই, শিনকু লা টানেল চালু করা। তিন, গ্রামের জন্য ‘প্রাণবন্ত’ প্রকল্প চালু করা। মনে করা হচ্ছে, তিব্বত ও শিনজিয়াংয়ের মতো জায়গায় চিনা সেনা যে ত্রিস্তরীয় সীমান্ত সুরক্ষা বলয় তৈরি করছে, তার মোকাবিলা করতেই এই নয়া পরিকল্পনা।