সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের প্রধান নদী সিয়াং। কিন্তু, স্বচ্ছ নদীর জল আচমকাই কালো হয়ে গিয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে চিন সীমান্ত লাগোয়া এই রাজ্যে। সিয়াং নদীর জলের নমুনা সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় জল কমিশন। এই ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে চিনকেই দায়ি করেছেন জেলা প্রশাসন।
[৩ মিনিট দেরিতে তুলকালাম, বিমানকর্মীকে চড় মহিলা যাত্রীর]
সিয়াং নদীর উৎসস্থল চিনে। অরুণাচল প্রদেশে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে নদীটি। দৈনন্দিন কাজে তো বটেই, নদীর স্বচ্ছ জল পানও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চলতি বছরের বর্ষায় তাঁরা প্রথম খেয়াল করেন, সিয়াং নদীর জল কালো হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেবেছিলেন, বৃষ্টিতে প্রচুর পরিমাণ কাদা নদীতে মিশেছে। সেকারণেই হয়ত নদীর জল কৃষ্ণবর্ণ। কয়েক মাস আগে অরুণাচল প্রদেশ থেকে বর্ষা নিয়েছে। কিন্তু, সিয়াং নদীর জলের রঙ বদলায়নি। এরপরই নড়চড়ে বসে পূর্ব সিয়াং জেলার প্রশাসন। জেলার ডেপুটি কমিশনার তামও টাটাক জানিয়েছে, প্রচুর পরিমাণে সিমেন্ট জাতীয় পদার্থ ভাসছে। নদীর জল পানের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। ঘটনার রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সিয়াং নদীর কালো হয়ে গিয়েছে, এমন ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না এলাকার বহু প্রবীণ বাসিন্দারাও।
[‘চা বিক্রেতা এখন প্রধানমন্ত্রী, মোদি প্রমাণ করেছেন পরিবর্তন সম্ভব’]
এই ঘটনার কথা জানিয়ে অরুণাচল প্রদেশ সরকারকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে পূর্ব সিয়াং জেলা প্রশাসন। নদীর জলের নমুনা সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় জল কমিশনও। কিন্তু, কেন হঠাৎ সিয়াং নদী জল কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে? পূর্ব সিয়াং জেলার ডেপুটি কমিশনারের বক্তব্য, সিয়াং নদীর উৎসের কাছে সম্ভবত বাঁধ বা অন্য কিছু নির্মাণ করছে চিন। তাই সিমেন্ট জাতীয় পদার্থ ভেসে আসছে নদীর জলে। বস্তুত, অন্য কোনও কারণেও যে এই ঘটনা ঘটতে পারে, সে সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
[‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারের বিরোধিতায় হরিয়ানার মন্ত্রী]
প্রসঙ্গত, এই সিয়াং নদী ভারতে দিয়াং নামে পরিচিত। চিন থেকে প্রায় ২৩০ কিমি প্রবাহিত হওয়ার পর অরুণাচলের লোহিত জেলায় প্রবেশ করেছে দিয়াং নদী। পাহাড়ি পথে বেয়ে আরও ৩৫ কিমি নিচে গিয়ে, পূর্ব সিয়াং জেলার পাসিঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলেছে নদীটি।
[ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইলে আধার যোগের সময়সীমা বাড়াতে রাজি কেন্দ্র]
The post আচমকাই কালো হল সিয়াং নদীর জল, আতঙ্কে অরুণাচলের বাসিন্দারা appeared first on Sangbad Pratidin.