সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিয়া থেকে ভারত। দেশের নামবদল নিয়ে জল্পনার মধ্যেই কেন্দ্রকে নিশানা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। তাঁর দাবি, বিরোধী জোটের নাম ইন্ডিয়া রাখা হয়েছে বলেই গোটা দেশের নাম বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। কেন্দ্রকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, আমরা যদি বিরোধী জোটের নাম বদলে ‘ভারত’ করে দিই, তাহলে আপনারা কি দেশের নাম বদলে বিজেপি করে দেবেন?
দেশের নাম বদলের জল্পনা শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির তরফে পাঠানো আমন্ত্রণপত্র নিয়ে। ওই আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র (President of India) পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ (President of Bharat) লেখা নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সরকার সংসদের যে বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে, সেখানেই দেশের নাম বদলের প্রস্তাব আনবে কেন্দ্রীয় সরকার।
[আরও পড়ুন: জি২০ সম্মেলনে বিশ্বকে স্বাগত জানাবে ২৮ ফুট উচ্চতার নটরাজ!]
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,”নাম বদল নিয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। আসলে অনেক বিরোধী দল একসঙ্গে হয়ে ইন্ডিয়া নামের জোট তৈরি করেছে। শুধু সেকারণেই দেশের নাম বদলাতে চাইছে কেন্দ্র। এই দেশ ১৪০ কোটি মানুষের। কোনও একটা দলের সম্পত্তি নয়। আচ্ছে, এই জোটের নাম যদি ভারত হয়, তাহলে কি দেশের নাম বিজেপি করে দেওয়া হবে?” কেজরির সুরে শরদ পওয়ারও বলছেন, শাসক দলের কোনও অধিকার নেই দেশের নাম বদলানোর।
[আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে দেশের নাম! রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্রে INDIA-র পরিবর্তে BHARAT, তুঙ্গে বিতর্ক]
দেশের নাম বদল নিয়ে জল্পনা যত বাড়ছে, ততই আক্রমণের সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কংগ্রেস, দেশের নামবদলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সরকার যদি সত্যিই দেশের নাম বদলাতে চায়, তাহলে কী রণকৌশল হতে আবার বৈঠকে বসেছে কংগ্রেস।