বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দল আম আদমি পার্টি (AAP) মদ দুর্নীতি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসাবে দেখাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বুধবার তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে আদালতে চার্জশিট পেশ করে হয়। চার্জশিটে দাবি করা হয় যে, ঘুষের টাকা সরাসরি আম আদমি পার্টির তহবিলে জমা পড়েছিল। এছাড়াও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পুরো ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। বর্তমানে কেজরিওয়াল ও মনীশ সিসোদিয়া তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন।
দিল্লির মদকাণ্ডে রাজধানীর রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। তাতে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর আসামী হিসাবে নাম রয়েছে যথাক্রমে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও আম আদমি পার্টির। ভারতে কোনও রাজনৈতিক দলের দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার নজির নেই। এই প্রথম রাজনৈতিক দলের তহবিলে ঘুষের টাকা জমা হওয়া নিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বাড়ছে HIV সংক্রমণ? বিভ্রান্তি দূর করলেন মুখ্যমন্ত্রী]
ইডি চার্জশিটে বলেছে, জমা হওয়া অর্থের মধ্যে ২৫ কোটি আম আদমি পার্টি ২০২২-এ গোয়ার বিধানসভা (Goa Assembly Election) ভোটে খরচ করে। ইডির দাবি, সবই দলের সুপ্রিমো কেজরিওয়ালের জ্ঞাতার্থেই হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি চার্জশিটে নানা তথ্য দিয়ে দাবি করেছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীই গোটা দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। ধৃত মদ ব্যবসায়ী বিজয় নায়ারের পরামর্শ মতো মদনীতি তৈরি হয়। ওই ব্যবসায়ী নিয়মিত কেজরিওয়ালের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলতেন।
[আরও পড়ুন: গৃহিণীরও থাকা উচিত ‘ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট’, ATM কার্ড, গৃহবধূর অধিকারে সরব সুপ্রিম কোর্ট ]
এই মামলায় দুই অভিযুত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি। কেজরিওয়ালকে আর এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ও গ্রেফতার করেছে। বুধবার ইডি চার্জশিট জমা করায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মুক্তি পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।